এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সামনে। এমন ম্যাচে শাহিন আফ্রিদিদের বোলিং তোপে পড়েছে লঙ্কানরা।
১০০ রানের আগেই ৬ উইকেট হারানো দলটিকে সামনে টেনে নিয়ে গেলেন কামিন্দু মেন্ডিস। তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩৩ রান।
২০১৯ সালের পর থেকে এই ম্যাচের আগপর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে পাকিস্তান প্রতিবারই হেরেছে। সেই জয়খরা কাটানোর লক্ষ্যে সালমান আলি আগার দল অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে। বিপরীতে বোলিং শক্তি বাড়িয়ে একাদশ সাজায় চারিথ আসালাঙ্কার লঙ্কাবাহিনী। একে তো ব্যাটিংয়ের শক্তি কমেছে, উল্টোদিকে ফর্মে থাকা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ভুগিয়েছে তাদের।
শাহিন আফ্রিদির করা দ্বিতীয় ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন কুশল মেন্ডিস। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা তিনটি টি-টোয়েন্টিতেই তিনি গোল্ডেন ডাক মারলেন। আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাও দলীয় ১৮ রানে আউট। তিনিও ব্যক্তিগত ৮ রানে শাহিনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটরক্ষকের হাতে। এক কামিন্দু মেন্ডিস বাদে আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। একে একে আউটের মিছিলে যোগ দিয়েছেন কুশল পেরেরা (১৫), আসালাঙ্কা (২০) ও দাসুন শানাকা (০)।
১১৩তম ম্যাচ খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৪ বার ডাক নিয়ে ফিরলেন শানাকা। ১৩ বার করে ডাক মেরেছেন আরও ৫ ব্যাটার, এতদিন যৌথভাবে সেই রেকর্ড ভাগাভাগি করলেও আজ সাবেক লঙ্কা অধিনায়ক সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। মাঝে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা করেন ১৫ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে লঙ্কানদের ইনিংস টেনে নিয়ে গেছেন কামিন্দু। ফলে তার ব্যাটে রানও উঠেছে ধীরগতিতে। তবে লঙ্কানদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেতে তিনিই ছিলেন ভরসা।
কামিন্দু মেন্ডিস নিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৩ বলে। পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়েছেন শাহিনের বলে। এ ছাড়া চামিকা করুণারত্নের ব্যাটে আসে ২১ বলে ১৭ রান। ফলে লঙ্কানদের বোর্ডে দাঁড়ায় ১৩৩ রানের সংগ্রহ। পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট এবং আবরার আহমেদ ও হুসাইন তালাত ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
কেকে/এজে