ছাত্র সংসদ গঠন, আয়তন বৃদ্ধি, ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম ও পরীক্ষার খাতা কিউআর কোড সিস্টেম চালুসহ নয় দফা দাবিতে টানা চার ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয় তারা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় যবিপ্রবি প্রশাসনিক ভবনের নিচে এ কর্মসূচিতে বসেন শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. উসামাহ বলেন, আমাদের কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে ভিসি স্যার এক মাস সময় দিয়েছেন। আর কিছু বিষয়ে সৃজনশীলের উদ্দীপক ধরিয়ে দিয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে চিন্তা করে ভিসি স্যারের কথা মেনে নিয়েছি। এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করেই ছাড়ব।
এ সময় যবিপ্রবি উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন, ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ সেশনের সমস্যাগুলো নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে আমরা একটি কমিটি গঠন করব। শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ গঠনের দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।
২. জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচার সুবিধাভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত করা।
৩. ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু এবং পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীর নাম-রোলের পরিবর্তে কোডিং সিস্টেম প্রবর্তন।
৪. সেমিস্টার ফি কমানো এবং বিভাগ উন্নয়ন ও ক্লাব ফি বাতিল করা।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক ক্যাম্পাসে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ, বিশেষ করে নবীন শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা। অন্যথায় আবাসন ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বৃদ্ধি করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
৭. সার্টিফিকেট উত্তোলন জটিলতা দূর করে অনলাইনভিত্তিক সহজ পদ্ধতি চালু করা।
৮. ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের রিটেক সমস্যার দ্রুত সমাধান।
৯. আমবটতলা থেকে বেলতলা পর্যন্ত ফুটপাত নির্মাণ এবং প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার সংস্কার।
কেকে/ আরআই