ঢাকার সাভার উপজেলায় পোশাক কারখানায় চাকুরি প্রত্যাশী এক নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ও তার সহকর্মীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ৩ ধর্ষককে আটক করলেও আরও একজন পালিয়ে যায়।
গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুর ঝাউচর এলাকার এসএম জুয়েলের হাউজিংয়ের ভিতরে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো ঢাকা জেলার সাভার থানার ঝাউচর উত্তরপাড়া মহল্লার মৃত আ. ছাত্তারের ছেলে মো. রাসেল (২৯), মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৪) ও মো. কামাল মিয়ার ছেলে মো. শরীফ হোসেন (২৭)।
এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে দক্ষিণ মেইটকা গ্রামের মো. সোহরাবের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৮)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারী গত বুধবার সাভারের শ্যামপুর এলাকায় অর্কিড গার্মেন্টসে চাকুরির জন্য যায়। সেখান থেকে তার সহকর্মী মো. রাকিব হাসান লাবুর সাথে বাসায় ফেরার পথে ঝাউচর এলাকার এসএম জুয়েলের হাউজিংয়ের সামনে পৌঁছালে ৪জন বখাটে ওই নারীকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে কলা বাগানের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী এবং তার সহকর্মীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ৩ ধর্ষককে আটক করে। এ সময় সোহাগ নামে এক ধর্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়।
সাভার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘গণধর্ষণের ঘটনায় ৩জনকে আটক করা সম্ভব হলেও একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
‘এছাড়া পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
কেকে/ এমএ