নাটোরের ডায়রিয়ায় কারণ জানতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআরের) ৪ সদস্যদের চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দল এসেছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডা. ক্য থোয়াই প্রু প্রিন্সের নেতৃত্বে ডা. মো. রাফিউল হাসান, টেকনোলজিস্ট লক্ষণ কর্মকার ও আব্দুল কুদ্দুস সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত লোকজনের সাথে কথা বলেন।
এ সময় প্রতিনিধি দল রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলেননি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফিন জানান, আজ শুক্রবার পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন ১০০জন পুরুষ, ৯৭ নারী ও ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু। ইতোমধ্যে ১০০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার থেকেই নাটোরে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠালবাড়িয়া, চৌকিরপাড় ও ঝাঁউতলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, ‘পৌরসভার সরবরাহ করা পানি খেয়েই তারা অসুস্থ হয়েছেন। তবে পানি পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানের রিপোর্টে জানানো হয় নমুনা পানিতে কোনো ধরনের জীবাণু নেই।’
কেকে/ এমএ