ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ময়না হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. হোসেন মিয়া (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার পুনিয়াউট (নয়নপুর) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. হোসেন মিয়া উপজেলার আতকাপাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলীর পুত্র।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ সিলেট এর অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ভিকটিম ময়না আক্তার (১২) আসামীর পূর্ব পরিচিত। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়নার বাড়ির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজনাকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের সাথে এলাকার লোকজনের তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক-বির্তর্কের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ মারামারি হয়। এ মারামারির বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামী পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকে।
অপর দিকে ভিকটিম পরিবার ওইদিন সন্ধ্যায় আানুমানিক সোয়া ৭টার দিকে জরুরি কাজে মনিপুর বন্দর বাজারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র আসামী পক্ষের লোকজন ভিকটিমকে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে।
মারামারির একপর্যায়ে ১নং আসামী হোসেন ময়নাকে খুন করার উদ্দেশ্যে বল্লম দিয়ে বুকের বাম পামে গুরুতর আঘাত করে। পরে ভিকটিমের চিৎকারে এলাকাবাসী ময়নাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে ময়নার মা বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ ছায়া তদন্ত ও বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। দীর্ঘ গোয়েন্দা নজরধারীর পর সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল সদর উপজেলার পুনিয়াউট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার ১নং আসামী মো. হোসেন মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেফতারকৃত আসামী মো. হোসেন মিয়াকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অনুরুপ অব্যাহত থাকবে।
কেকে/ আরআই