একটি সড়কের অভাবে দুর্ভোগের শেষ ছিলনা গ্রামের মানুষের। ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজ যেতে পারত না। বর্ষাকালে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়া ছিল রীতিমতো দুঃসাধ্য। অপরদিকে জলাবদ্ধতার কারণে ঠিকমতো ফসল ঘরে তুলতে পারতেন না কৃষক। এবার সেখানে পাকা সড়ক নির্মাণে শেষ হয়েছে দুর্ভোগের দিন। বদলে গেছে গ্রামের আর্থ-সামাজিক চিত্র।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত গ্রাম পিনপিনিয়া। পিনপিনিয়া জামে মসজিদের সামনে থেকে সড়কটি শুরু হয়ে শেষ হয়েছে পিনপিনিয়া ছড়ার কূল ঘেঁষে। গ্রামীণ সড়কটির দুই পাশে কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি। সবুজ শ্যামলে ভরপুর এই গ্রামের চারপাশে উঁচুনীচু পাহাড়-টিলা বেষ্টিত। যার এক পাশে বহমান ফটিকছড়ি খাল। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই সড়কটি নিয়ে দুর্ভোগ আর আক্ষেপের শেষ ছিল না এলাকাবাসীর। অপরদিকে কৃষক তার কষ্টে অর্জিত ফসল ঘরে তুলতে বেগ পেতে হতো। তবে, এবার শেষ হয়েছে সব দুর্ভোগ আর কষ্ট। কারণ, কাঁদামার্দ সড়ক পাকা হয়েছে। আর তাতেই পাল্টে গেছে বড়বিল পিনপিনিয়া গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষের জীবনযাত্রা। এ কারণে উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিকস ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা সড়কটির উন্নয়নের কাজ করা হয়। পানি নিষ্কাশনে এ সড়কের মাঝে দু'টি কালভার্ট তৈরি করে দেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহরম আলী বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে এ সড়কটি নির্মাণ হওয়াতে গ্রামের চিত্র পাল্টে গেছে। সাঙ্গে এখানকার মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি পেয়েছে।’
কৃষক নুরুল আলম বলেন, এ সড়কটি দিয়ে হাঁটাচলা করাও দুঃসাধ্য ছিল। সড়কটি পাঁকা হওয়ায় গ্রাম্য মানুষের খুব উপকার হয়েছে। খুব সহজে চলাফেরা করতে পারি। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান তারা।
হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় নিমজ্জিত ছিল। গ্রামের মানুষের দুভোর্গ লাঘবে প্রায় দেড় কি.মি সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। আগামীতেও অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।
কেকে/এআর