সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
আইন-আদালত
মৃত্যুর আগে বিচার দেখে যেতে চান আবু সাঈদের বাবা
খোলা কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:০৮ পিএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন তার মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীর ডায়াসে দাঁড়িয়ে তিনি এ বিচার চেয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এদিন বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সাক্ষীর ডায়াসে ওঠেন আবু সাঈদের বাবা। ঠিক দুই মিনিট পর শপথ পড়ে সাক্ষ্য শুরু করেন। শুরুতেই নিজের পরিচয় দেন মকবুল হোসেন। বলেন, ‘আমি শহিদ আবু সাঈদের বাবা। ১৬ জুলাই আন্দোলনে তিনি শহিদ হন।’

জবানবন্দিতে মকবুল বলেন, ‘আমার ছেলে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে রংপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হয়। ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিল। টিউশনি করেই নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতো।’

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ফসলের মাঠ থেকে দুপুর ১২টায় বাড়ি ফেরেন মকবুল হোসেন। ফিরতেই দেখেন সবাই কান্নাকাটি করছেন। কিছুক্ষণ পর শোনেন আবু সাঈদ মারা গেছেন।

সাক্ষী বলেন, ‘ছেলের মৃত্যুর খবর শুনেই আমার মাথায় যেন আসমান ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক খবর নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছেলে ও মেয়ের জামাইকে পাঠাই। তারা গিয়ে দেখেন আবু সাঈদের লাশ নেই। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে। এরপর তারা রংপুর মেডিকেলে যান। প্রথমে লাশ দেখতে চাইলে পুলিশ দেখতে দেয়নি। একপর্যায়ে ছেলে-জামাইয়ের চাপে দেখতে দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে আবু সাঈদের লাশ বাড়িতে আনা হয়। তবে প্রশাসনের লোকজন রাতেই দাফন করতে বলেন। কিন্তু আমরা রাজি না হয়ে পরদিন সকাল ৯টায় দুবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি। লাশ বাড়িতে আনার পর গোসল করানোর সময় দেখি তার মাথায় রক্ত ঝরছে। বুকে গুলির চিহ্ন। সারা বুক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে শুনতে পাই আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র।

জবানবন্দিতে মকবুল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে আবু সাঈদকে গলা টিপে ধরাসহ চড়-থাপ্পড় মারেন ছাত্রলীগ নেতা পমেল বড়ুয়া। আমার আশা ছিল ছেলেটা চাকরি করবে। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূর্ণ হলো না। যেহেতু আমার ছেলে শহিদ হয়েছে। তাই আমি আশা করবো আমার মৃত্যুর আগে যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। এছাড়া আমার ছেলেকে নির্মমভাবে যারা শহিদ করেছে তাদের বিচার চাই। ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদেরও বিচার চাই।

কেকে/এজে
আরও সংবাদ   বিষয়:  আবু সাঈদের বাবা   মৃত্যু   বিচার  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

আইন-আদালত- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close