সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
খোলাকাগজ স্পেশাল
বাংলাদেশে ঢুকতে পারে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। যে কোনো সময় তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা-বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে রোহিঙ্গারা সীমান্তের দিকে জড়ো হচ্ছে। কিছু কিছু করে তারা সীমান্ত অতিক্রম করছে।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী গত ১৮ মাসে নতুন করে দেড় লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোববারের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল অপ্রতুলতার বিষয়টিও আলোচনা হয়। এই কর্মকর্তা জানান, গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি বছর রোহিঙ্গা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানে প্রায় ৯৫ কোটি ডলারের জন্য আবেদন করা হয়। এ পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এখন জরুরিভাবে ১৭ কোটি ডলারের প্রয়োজন। এই তহবিল সংগ্রহের জন্য জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।’

এদিকে দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রভাবকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়ার এই ভূমিকার ব্যবহার করতে চায় ঢাকা। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ ওই সাক্ষাৎকার বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে বারনামা। এতে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয়দানের অভিজ্ঞতা এবং আসিয়ানে নেতৃত্বের অবস্থান মিলিয়ে মালয়েশিয়া আঞ্চলিক এই সংকটের সমাধানের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে।

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজ, ইন্টারন্যাশনাল নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক ভুন মিয়াও পিং ও বারনামার ইকোনমিক নিউজ সার্ভিসের সহকারী সম্পাদক কিশো কুমারী সুসেদারাম।

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়া পুরো আলোচনায় তাদের প্রভাব খাটাবে; যাতে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি সৈন্যদের মাঝে চলমান সংঘর্ষ রোহিঙ্গা সংকটকে আরো গভীর করে তুলেছে। এর ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, কেবল গত ১৮ মাসেই নতুন করে ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন। এর সঙ্গে আগে থেকেই পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। আরো ভয়াবহ হলো, যুক্তরাষ্ট্র তাদের (রোহিঙ্গাদের) তহবিল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল সমস্যা।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আগামী কয়েক মাসে তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। প্রথম সম্মেলনটি বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়ার আট বছর পূর্তির সময় চলতি মাসের শেষের দিকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হবে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে। আর তৃতীয়টি বছরের শেষের দিকে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

২০২১ সাল থেকে মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। দীর্ঘস্থায়ী এই মানবিক সংকট কেবল বাংলাদেশ নয়; বরং আসিয়ানের আরো কয়েকটি দেশ- যেমন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াকেও প্রভাবিত করছে।
মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী সনদ বা ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলে স্বাক্ষরকারী না হলেও মানবিক দিক বিবেচনায় দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে।

রোহিঙ্গা সংকটের শুরু হয় ২০১৭ সালে। ওই সময় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  বাংলাদেশ   ৫০ হাজার রোহিঙ্গা   মিয়ানমার   রাখাইনে  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close