হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বান্দরবানে নানা আয়োজনে, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে এই জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে।
জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোরে বান্দরবান কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদ এর আয়োজনে বান্দরবান রাজারমাঠে শুরু হয় মহানামযজ্ঞ। পরে সকাল ১১টায় রাজারমাঠ থেকে শুরু হয় এক মহাশোভাযাত্রা।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. হাসান আলী শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এবং বেলুন উড়িয়ে মহাশোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা যাত্রা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবদুল করিম, বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের আহ্বায়ক নিখিল কান্তি দাশ, সদস্য সচিব আনন্দ দাশ, বান্দরবান কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি রিটল কান্তি বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক অলক ধরসহ বান্দরবানের বিভিন্ন মন্দিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সনাতনী নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মহাশোভাযাত্রাটি রাজারমাঠ থেকে শুরু হয়ে বান্দরবানের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার উৎসব প্রাঙ্গণে গিয়ে সমবেত হয়। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নানা দেব-দেবীর প্রতিকৃতি সাজে সজ্জিত হয়ে শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী যুবক-যুবতীরা অংশ নেয়।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিনব্যাপী বান্দরবান রাজারমাঠে চলবে মহানামযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণ, আর আগামী রোববার (১৭আগস্ট) ভোরে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, নগর পরিক্রমা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বীদের বর্ণাঢ্য এই জন্মাষ্টমী উৎসবের।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে-যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
কেকে/এআর