জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের তালুকদারপাড়া মহল্লায় পিছন দিকে নিচতলায় গ্রিল কেটে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বাড়ির গৃহকর্তাসহ চারজনকে বেঁধে মারপিট করে চারটি মোবাইল, আলমারিতে থাকা নগদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
শনিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পৌরশহরের তালুকদারপাড়া মহল্লায় নাফসি তালুকদারের বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ভুক্তভোগী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে কালাই পৌরশহরের তালুকদারপাড়া মহল্লায় পিছন দিক থেকে দ্বিতল ভবনের নিচতলায় গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দল। এ সময় ডাকাতরা নিচতলা থেকে দ্বিতীয়তলায় প্রবেশ করে প্রথমে গৃহকর্তাসহ পরিবারের চারজনের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারপিট করে। এরপর তারা ঘরের মধ্যে আলমারির ড্রয়ার থেকে শুরু করে সকল আসবাবপত্র তছনছ করে কাপড় ও কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে চারটি মোবাইল, এক লাখ বিশ হাজার টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে পালিয়ে যায়। পরে গৃহকর্তা ও অন্য সদস্যরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের হাত-পা ও চোখের বাঁধন খুলে দেয়।
গৃহকর্তা নাফসি তালুকদার বলেন,‘কখন যে ডাকাতরা বাড়িতে প্রবেশ করেছে তা একটুও টের পাইনি। ডাকাতরা ৭/৮ জন ছিল, তাদের সবার হাতে চাপাতি ও লোহার রড ছিল। কিছু বলার আগেই তারা আমাকেসহ স্ত্রী ও সন্তানদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। চিৎকার করলে সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। প্রায় ৪৫ মিনিট তারা বাড়িতে ছিল। তারা যাওয়ার পর চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে আমাদের হাত-পা ও চোখের বাঁধন খুলে দেয়। এ সময়ের মধ্যে ডাকাতরা আলমারির ড্রয়ারে থাকা দশ ভরি স্বর্ণালংকার, এক লাখ বিশ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে।’
প্রতিবেশী সোহেল তালুকদার বলেন,‘রাতে ওদের চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখি সবার হাত-পা ও চোখ বাঁধা। ডাকাতরা আলমারির কাপড় ও কাগজপত্র ঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়েছে। আর টাকা, স্বর্ণ ও মোবাইল নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ৫০ বছরের অধীক আমার বয়স, কখনও এই মহল্লায় ডাকাতি বা চুরির ঘটনা ঘটেনি। আজকের এই ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বা পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছে। তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে।’
গৃহকর্ত্রী তাজমিনা বলেন,‘রাতে ডাকাতরা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে সবাইকে জিম্মি করে। এরপর তারা ঘরে প্রবেশ করে সবকিছু তছনছ করে চারটি মোবাইল, টাকা ও দশ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চলে যায়। পরে আমরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে সবার বাঁধন খুলে দেয়।’
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,‘খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/ এমএস