বিয়ানীবাজারের চারখাই এলাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা মুল্যমানের ভারতীয় অবৈধ কসমেটিকস পণ্য আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা থেকে এসব কসমেটিকস আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- কানাইঘাটের সাতপারি গ্রামের সাইনুল হকের ছেলে জাহেদ আহমদ (২৪) ও মইন উদ্দিনের ছেলে হাসান ইমরান (২০)।
পুলিশ জানায়, পাথর বোঝাই ট্রাকে করে ওই পণ্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আটককৃত কসমেটিকস পণ্য কথিত সৌন্দর্যবর্ধণ ক্রীম বলে বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, সীমান্তঘেঁষা জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা থেকে পাথরের আড়ালে ট্রাকভর্তি ভারতীয় অবৈধ কসমেটিকস পণ্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে চারখাই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে পাথর ও অবৈধ কসমেটিকস বোঝাই ট্রাকটি (নং-বগুড়া-ট ১১-২৩৬৯) কসকটখা-লালপুর সেতুর উপর আসার পর পুলিশী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। পুলিশ ওই ট্রাকটি আটক করে চারখাই ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সেখানে তল্লাশিকালে ৭৪ কার্টুন স্কিনশাইন ক্রীম ও ২৮ কার্টুন আল্ট্রাব্রাইট কথিত স্যেন্দর্যবর্ধন ক্রীম পাওয়া যায়। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে এসব কসমেটিকস পণ্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হোসাইন জানান, আটক কসমেটিকস পণ্যের বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান এবং অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামানের তদারকিতে এসব পণ্য আটক করা হয়। অবৈধ পণ্য পরিবহনের দায়ে ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান জানান, বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় কসমেটিকস অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ এসব পণ্য আটক করার পাশাপাশি গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে।
কেকে/ এমএস