মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ষোলআনীতে অভিযান চালিয়ে ৫ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তলসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় চারটি দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তির নাম শাহ আজিজুর রহমান পলাশ (৪০)। সে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, স্যুটার মান্নার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ষোলআনী গ্রামের শহীদুল্লাহ প্রধানের ছেলে জুয়েল বাড়িতে অবস্থান করছে এমন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে অভিযানের প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। শনিবার (০৯ আগস্ট) ভোর ছয়টার দিকে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জুয়েলসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ৫ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি পিস্তলসহ শাহ আজিজুর রহমান পলাশ নামে একজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি রামদা ও ৩টি দা উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ৮টায় অভিযান শেষ হয়। গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার আলম আজাদের নেতৃত্বে অভিযানে গজারিয়া থানা পুলিশ ও গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, 'গোপন সূত্রে আমরা খবর পাই মান্নান হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী জুয়েলসহ কয়েকজন শনিবার সকালে চাঁদার দাবিতে ষোলআনী বালুমহালে হামলা করবে। এমন খবরের ভিত্তিতে আমরা ষোলআনী গ্রামে জুয়েলের বাড়িতে অভিযান চালাই। এ সময় জুয়েলসহ ৪/৫জন বাড়ির বাহিরে অবস্থান করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। আমরা জুয়েলের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে কোমরে গুঁজে রাখা একটি পিস্তলসহ পলাশ নামে একজন আটক করি। পিস্তলটি লোডেড অবস্থায় ছিল, এর ভেতর ৫ রাউন্ড গুলি ছিল। পরে জুয়েলের ঘর তল্লাশি করে ১টি রামদা ও ৩টি দা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা হবে'।
কেকে/এআর