চাঁদা না দেওয়ায় চোরের অভিযোগে গ্রেফতার কৃত দুই শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবিতে এবং সন্ত্রীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাটুরিয়া প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী আকাশের পিতা বিল্লাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার এলাকার সফিকুল ইসলাম, উজ্জ্বল মিয়া, মান্নান উদ্দিন, জীবন আহমেদ জয়, নুরুল ইসলাম, মামুন, মাহবুব ওরফে নজরুল ইসলাম এবং মিলনসহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজন তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক।
উল্লিখিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় আমাদের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের বেঁধে দেওয়া ২৩-০৭-২০২৫ তারিখে বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র লাল মিয়ার পুত্র আলমগীর হোসেন (১২) কে দাদার বাড়ি সাভার বাজার সেলুনের পাশ থেকে এবং আব্দুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আকাশ (১৬) কে আমার নিজবাড়ি থেকে ১নং বিবাদী সফিকুল ইসলাম সারের গোডউনের শাটার বন্ধ করে অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করলে দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়।
বিল্লাল হোসেন আরো বলেন, মান্নান প্লাস দিয়ে আকাশের ডান পায়ে মাংস ছিঁড়ে ফেলে। পরে অন্যান্য আসামিরা গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে। চাঁদার টাকা না পাওায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত মারধর করতে থাকে। পরে চোরের অপবাদ দিয়ে তাদের সাটুরিয়া থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সাটুরিয়া থনায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় তা গ্রহণ করেননিও অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আকাশের মা মোছা. পারুল বেগম, দাদা আলমাস, এলাকাবাসী আলিম, সামছুল হকসহ আরো অনেকেই।
এতে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাটুরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিনুল ইসলাম বলেন, দুই শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিত্বে আটক করে আদালতে পাঠাই। তাদের বয়স কম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত কিশোর অপরাধ ও সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে।
কেকে/এএস