ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে পঁচা দেলুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ফরদাবাদ ইউনিয়নে মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা এবং সালিশ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, পঁচা দেলু ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দিয়ে গত এক বছরে কয়েক কোটি টাকা অবৈধ আয় করেছেন। বাঞ্ছারামপুর ও নবীনগর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন দেলু।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি রাজধানীতে আত্মগোপনে যান এবং বিএনপিপন্থী কিছু আইনজীবীর সহায়তায় আবারও মামলা বাণিজ্যে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
অভিযোগ রয়েছে, তার গ্রামের পুরনো টিনের দোচালা ঘর থাকলেও বর্তমানে তিনি একটি দোতলা ডুপ্লেক্স ভবনের মালিক হয়েছেন। রয়েছে একাধিক জমিও। তবে তার কোনো বৈধ ব্যবসা বা আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি।
পঁচা দেলুর গ্রেফতারের খবরে ফরদাবাদ এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগীদের মাঝে স্বস্তি ও উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে উল্লাস করেন এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তবে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, আওয়ামী লীগের আমলে কোটি কোটি মালিক বনে যাওয়া পঁচা দেলু হয়তো টাকার জোরে জামিনে বের হয়ে যাবে। তার কঠোর বিচার ও শাস্তি দাবি করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেলুর বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো তদন্তাধীন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এজে