শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ      ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি      
দেশজুড়ে
বৈরী আবহাওয়ায় মাছ শিকারে যেতে পারছে না জেলেরা
জে এইচ রাজু চরফ্যাশন (ভোলা)
প্রকাশ: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১:০২ পিএম আপডেট: ০২.০৮.২০২৫ ১:১২ পিএম
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশনের হাজারো জেলে সম্প্রতি বৈরী আবহাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। টানা কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগর, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে নদীতে নামতে পারছেন না তারা। ফলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে এসব নদীনির্ভর জেলেদের জন্য।

চরফ্যাশনের নুরাবাদ, আহাম্মদপুর, নীলকমল, মুজিবনগর, চরকচ্চপিয়া, শশীভূষণ, আবদুল্লাপুর ও হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলে পরিবার বর্তমানে দিশেহারা। স্থানীয় জেলেরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে টানা ঝড়ো হাওয়া, মাঝেমধ্যে বৃষ্টিপাত ও নদীতে বড় ঢেউয়ের কারণে মাছ ধরার অনুকূল পরিবেশ নেই। বিশেষ করে গভীর নদী বা সাগরে নামা এখন রীতিমতো জীবন ঝুঁকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, চরফ্যাশন উপজেলায় প্রায় লক্ষাধিক জেলে রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১০৫ জন। সাগরগামী জেলের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৬১জন। সাগরগামী ট্রলার রয়েছে ১৩৬৫টি। গভীর সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে সাগরগামী জেলেরা তীরে নিরাপদে ফিরেছেন এবং তারা যার যার মৎস্যঘাটেই রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া শেষ হলেই তারা ঘাট ত্যাগ করেই মাছ শিকারে সাগরে যাবেন।  

উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ শিকারই বহু মানুষের একমাত্র জীবিকা। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক চাপও বাড়ছে এসব পরিবারের ওপর। অনেকেই বলছেন, সরকারিভাবে যদি সহায়তা না আসে, তাহলে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

স্থানীয় জেলে মো. হারুন জানান, “বছরের এই সময়টাই মাছ ধরার মৌসুম। নদীতে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আবহাওয়া খারাপ থাকায় নদীতে নামতে পারছি না। ফলে ইনকাম একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।”

আরেক জেলে সাহেব আলী বলেন, “ট্রলার ঘাটে বেঁধে রেখেছি, কিন্তু সেটা চালানো যাচ্ছে না। দিনে দিনে ধার-দেনা বাড়ছে। বাজারে গিয়ে হাত-পা গুটিয়ে আসতে হয়, কারণ টাকা নেই।”

জেলেদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয় বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সামরাজ মৎস্যঘাটের আড়তদার আসাদ জানান, আমার পরিচালিত মৎস্য আড়ৎটিতে কয়েক লাখ টাকার চালান খাটিয়েছি। জেলেদের দাদন দিয়ে রাখতে হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছে না। জেলেরা নদী বা সাগরে মাছ পেলে আমরা আড়ৎদাররা সেই মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করি। তবে সম্প্রতি সময়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা মাছ শিকারে যেতে পারছে না। জেলেরাও ঋণে জর্জরিত আমরা আড়ত মালিকরাও লোকসান গুনতে হচ্ছে।   

চরফ্যাশন মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গত কয়েকদিন ধরে গভীর সাগরে নিম্নচাপ থাকার কারণে নদী ও সাগরে মাছ ধরা অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সতর্কতা সংকেত থাকায় সকল জেলেকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলেদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। কারণ বিগত দুর্যোগে সময়ে অনেক জেলে প্রাণ হারিয়েছেন।’

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

আজিম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে সাউথইস্ট ব্যাংকের শোক
রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ
মাইলস্টোনে নিহত ফাতেমার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
ডিইপিজেড থেকে সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তাকে তুলে নিলো সন্ত্রাসীরা

সর্বাধিক পঠিত

‘শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি’
শেখ হাসিনার ফেরার পরিকল্পনা বানচাল
সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গ্রেফতার
রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না: মির্জা ফখরুল
বড়লেখা ২০ফুট লম্বা অজগরকে পিটিয়ে হত্যা

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close