ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় স্বামী মো. ইয়ামিন (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (৩০ জুলাই) ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেফতার ইয়ামিন বাটুলিয়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, ইয়ামিন প্রায় তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। তারই জের ধরে সোমবার সকালে ইয়ামিন ও তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে তাকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুচ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আশেপাশের লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে কৃষক তাহের বলেন, আমি সকালে ইয়ামিনেরর বাড়ির পাশে ক্ষেতে কাজ করতে ছিলাম। এমন সময় চিৎকারের শব্দ পেয়ে দৌড়িয়ে গিয়ে দেখি ইয়ামিনের স্ত্রীর গলা থেকে রক্ত ঝরতেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই বিষয়ে পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। স্বামী ইয়ামিন স্ত্রীর গলায় ছুরি চালায় আবার নিজেই পুলিশকে ফোন দেয়।
ধামরাই সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহম্মেদুল হক তিতাস বলেন, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একজন মহিলা গলাকাটা অবস্থায় হাসপাতালে আসে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ইয়ামিন নামে এক যুবক মোবাইল ফোনে আমাকে বলে আমি আমার স্ত্রীকে মার্ডার করেছি। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ইয়ামিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কেকে/এএস