পটুয়াখালীতে চাঁদাবাজি মামলায় জেল থেকে বের হয়েই মামলার বাদীর দেবরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করে অভিযুক্ত মামলার আসামি।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাউফল উপজেলার কনকদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় গত মে মাসে প্রবাসী আবুল হোসেন দীর্ঘদিন পরে বাড়িতে আসেন। ওই সময় তার কাছে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ডালিম গংরা।
চাঁদা না পাওয়ায় রামনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ডালিম হাওলাদার, মো. সোহেল হাওলাদারের ছেলে বাদল হাওলাদার, আনছার হাওলাদারের ছেলে মো. সোহেল, গনি হাওলাদারের ছেলে পারভেজ, মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. রাসেদ, মোক্তার আলীর ছেলে জাহিদ, মাহবুব হাওলাদারের ছেলে মো. হৃদয়, মজিবুর হাওলাদারের ছেলে হৃদয়, আবুল হোসেন মুন্সির ছেলে সুমন ও ফারুক সিকদারের ছেলে হোসেন সিকদারসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধদল হামলা চালান বসতবাড়িতে।
ওই হামলায় আহত হয় প্রবাসী আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী পারুল বেগম। ওই সময় হামলাকারীরা তাদের বসতঘরে লুটতরাজ ও ভাঙচুর চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকাও নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পারুল বেগম বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলার প্রধান আসামি ডালিমকে গ্রেফতার করলেও অন্যান্য আসামিরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। গ্রেফতারের প্রায় দুই মাস পরে জামিনে বের হয় ডালিম।
এরপরই বুধবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে প্রবাসীর ভাই কনকদিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন বাড়ি ফেরার পথে কনকদিয়া বাজারের হালিম টেইলার্সের সামনে হামলার শিকার হন। ওই হামলার নেতৃত্ব দেন চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি ডালিম হাওলাদার ও অন্যান্য আসামিরা। ওই সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ডালিম গংরা। প্রাণ বাঁচাতে একটি ফার্মেসির ভিতরে প্রবেশ করলে সেখানে গিয়ে পুনরায় হামলা করে।
হামলার পরে স্থানীয়রা তাকে কনকদিয়া বাজারের নিউ লাইফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে শুরু করলে পুনরায় হামলা চালায়। ওই সময় নিউ লাইফ নামে ফার্মেসিতেও তারা লুটতরাজ চালায়। পরবর্তীতে বাউফল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে আহত কামাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয়রাসহ নিউ লাইফ ফার্মেসির মালিক মনির হোসেন দাবি করেন, ডালিম গংদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে পুলিশ সাংবাদিকরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। এর আগেও তার প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি হয়েছিল। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। আহত পক্ষদ্বয়কে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তারা অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএস