ভারতে ঊর্ধ্বমুখী দর ও দেশীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। গত অর্থবছরে মসলাজাত পণ্যটি আমদানি কমেছে অন্তত ২ হাজার ৭০০ টন।
অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাতক্ষীরার মসলা বাজারে জিরার দর স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদার।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, বিদায়ি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত ১২ মাসে এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ টন। যার আমদানি মূল্য ১৩৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় অন্তত ৪০ শতাংশ কম আমদানি। সূত্রটি জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১২ মাসে এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছিল ৫ হাজার ৮২২ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ১১০ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী বিদায়ি অর্থবছর ভোমরা বন্দরে জিরা আমদানি কমেছে ২ হাজার ৭০৩ টন।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের মসলাজাত পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিনিয়া স্টোরে ভারতীয় জিরা বিক্রয় হয় প্রতি কেজি ৬২০টাকা এবং সিরিয়া ও ইরানি জিরা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে। যা গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেও একই দর ছিল বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, দেশীয় বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় সবধরনের আমদানিকৃত জিরার দর স্থিতিশীল রয়েছে।
ভোমরা বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, বারো মাসই বিভিন্ন প্রকার মসলাজাত পণ্য আমদানি করে তার প্রতিষ্ঠান। তবে বিদায়ি অর্থবছরে জিরা আমদানি কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরা জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার কারণে সম্প্রতি জিরার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কম রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেকে/এএস