ভবন না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সরকারি পাঠাগারটি ১৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৬ বছর আগের বই অন্যত্র রাখায় অযত্ন ও অবহেলায় এর প্রায় তিন হাজার মূল্যবান নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনের একটি কক্ষে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ইউএনও একটি পাঠাগার চালু করেন। সেখানে বিভিন্ন গবেষণামূলক, শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেরসহ নানা বিষয়ের তিন হাজার বই ছিল। ২০০৯ সালের আগস্টে পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলার পর পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা পাঠাগারটি চালুর ব্যাপারে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। উপজেলা পরিষদে সিদ্ধান্ত হলে পাঠাগারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ বা নির্মাণ করে দেওয়া যাবে।
ইউএনওর কার্যালয়ের একসময়ের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ওই পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগেই পাঠাগারের অনেক বই চুরি ও নষ্ট হয়ে যায়।
জনৈক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলাম। তখন পাঠাগারের ২০টি রেক এ অন্তত তিন হাজার বই ছিল। কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাও রাখা হতো। সে সময় অনেক পাঠক বই পড়তে আসতেন।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম ম ইলিয়াস বলেন, পাঠাগারটির সাথে একসময় আমার নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। প্রতিদিন এলাকার বহু যুবক বই পড়তে পাঠাগারে আসতো।লক্ষ লক্ষ টাকার বই ছিলো। সব নষ্ট হয়েছে। নতুন করে পাঠাগারটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাঞ্ছারামপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় বইগুলো উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলায় এলজিইডির দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি গুদামে রাখা হয়। পরে সেগুলো আর নিয়ে আসা হয়নি।
এ বিষয়ে ইউএনও ফেরদৌস আরা আজ রোববার বলেন, জেলা থেকে পাঠাগারটি চালুর জন্য আমাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ভবন পাচ্ছি না।ভাল ভবন না পেলে প্রয়োজনে নতুন ভবন তৈরি করে পাঠাগার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেকে/এজে