সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
বাঞ্ছারামপুরে ভবনের অভাবে ১৬ বছর বন্ধ সরকারি পাঠাগার
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: রোববার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ভবন না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সরকারি পাঠাগারটি ১৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৬ বছর আগের বই অন্যত্র রাখায় অযত্ন ও অবহেলায় এর প্রায় তিন হাজার মূল্যবান নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনের একটি কক্ষে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ইউএনও একটি পাঠাগার চালু করেন। সেখানে বিভিন্ন গবেষণামূলক, শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেরসহ নানা বিষয়ের তিন হাজার বই ছিল। ২০০৯ সালের আগস্টে পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলার পর পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা পাঠাগারটি চালুর ব্যাপারে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। উপজেলা পরিষদে সিদ্ধান্ত হলে পাঠাগারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ বা নির্মাণ করে দেওয়া যাবে।

ইউএনওর কার্যালয়ের একসময়ের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ওই পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগেই পাঠাগারের অনেক বই চুরি ও নষ্ট হয়ে যায়।

জনৈক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলাম। তখন পাঠাগারের ২০টি রেক এ অন্তত তিন হাজার বই ছিল। কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাও রাখা হতো। সে সময় অনেক পাঠক বই পড়তে আসতেন।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম ম ইলিয়াস বলেন, পাঠাগারটির সাথে একসময় আমার নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। প্রতিদিন এলাকার বহু যুবক বই পড়তে পাঠাগারে আসতো।লক্ষ লক্ষ টাকার বই ছিলো। সব নষ্ট হয়েছে। নতুন করে পাঠাগারটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাঞ্ছারামপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় বইগুলো উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলায় এলজিইডির দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি গুদামে রাখা হয়। পরে সেগুলো আর নিয়ে আসা হয়নি।

এ বিষয়ে ইউএনও ফেরদৌস আরা আজ রোববার বলেন, জেলা থেকে পাঠাগারটি চালুর জন্য আমাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ভবন পাচ্ছি না।ভাল ভবন না পেলে প্রয়োজনে নতুন ভবন তৈরি করে পাঠাগার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেকে/এজে
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close