বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫,
৬ ভাদ্র ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল      সাগর-রুনির পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হলো রাজউকের প্লট      মহানবী (সা.) এর সিরাতই তরুণদের চরিত্র গঠনের রোল মডেল: ধর্ম উপদেষ্টা       নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য জরুরি      ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু      ‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস      আবারো সংঘর্ষে ঢাকা-সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা      
দেশজুড়ে
বাঞ্ছারামপুরে ভবনের অভাবে ১৬ বছর বন্ধ সরকারি পাঠাগার
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ: রোববার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৬:৫৬ পিএম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ভবন না থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সরকারি পাঠাগারটি ১৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৬ বছর আগের বই অন্যত্র রাখায় অযত্ন ও অবহেলায় এর প্রায় তিন হাজার মূল্যবান নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনের একটি কক্ষে ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ইউএনও একটি পাঠাগার চালু করেন। সেখানে বিভিন্ন গবেষণামূলক, শিশুতোষ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেরসহ নানা বিষয়ের তিন হাজার বই ছিল। ২০০৯ সালের আগস্টে পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলার পর পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলা পাঠাগারটি চালুর ব্যাপারে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। উপজেলা পরিষদে সিদ্ধান্ত হলে পাঠাগারের জন্য কক্ষ বরাদ্দ বা নির্মাণ করে দেওয়া যাবে।

ইউএনওর কার্যালয়ের একসময়ের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০০৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত ওই পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগেই পাঠাগারের অনেক বই চুরি ও নষ্ট হয়ে যায়।

জনৈক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পাঠাগারের দায়িত্বে ছিলাম। তখন পাঠাগারের ২০টি রেক এ অন্তত তিন হাজার বই ছিল। কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাও রাখা হতো। সে সময় অনেক পাঠক বই পড়তে আসতেন।’

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম ম ইলিয়াস বলেন, পাঠাগারটির সাথে একসময় আমার নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। প্রতিদিন এলাকার বহু যুবক বই পড়তে পাঠাগারে আসতো।লক্ষ লক্ষ টাকার বই ছিলো। সব নষ্ট হয়েছে। নতুন করে পাঠাগারটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাঞ্ছারামপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের পুরোনো মিলনায়তনটি ভেঙে ফেলা হয়। সে সময় বইগুলো উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবনের তৃতীয় তলায় এলজিইডির দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি গুদামে রাখা হয়। পরে সেগুলো আর নিয়ে আসা হয়নি।

এ বিষয়ে ইউএনও ফেরদৌস আরা আজ রোববার বলেন, জেলা থেকে পাঠাগারটি চালুর জন্য আমাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ভবন পাচ্ছি না।ভাল ভবন না পেলে প্রয়োজনে নতুন ভবন তৈরি করে পাঠাগার চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেকে/এজে
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
জাকসু নির্বাচনে শিবিরের নেতৃত্বে প্যানেল ঘোষণা
ইতা‌লির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ঢাকা সফর বাতিল
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বিদ্যুতের তার যেন চড়ুই পাখির অভয়াশ্রম

সর্বাধিক পঠিত

মদনে স্ত্রীর নির্যাতন মামলায় সাবেক কমিশনার গ্রেফতার
জয়পুরহাটে বজ্রপাতে আলু ব্যবসায়ীর মৃত্যু
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৃষি সংস্কার ও খাদ্য নিরাপত্তার অভিযাত্রা
‘আমি সিক্স পার্সেন্টে কাজ করেছি’, উপদেষ্টা আসিফের প্রেস সেক্রেটারির অডিও ফাঁস
জামালপুরে পূবালী ব্যাংকের সহযোগিতায় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close