উত্তরের জেলা রংপুরের কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের শান্তবাজার হতে মৌলভীবাজার পাঁকা সড়কের মধ্যপথে ঝুঁকিপূর্ণ সরু ব্রিজের কারণে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৩৭ বছরের পুরোনো সরু ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পণ্য পরিবহনসহ জরুরি সেবায় জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে। এ ছাড়া ব্রিজের রেলিং ভেঙে যাওয়ার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। দ্রুত সরু ব্রিজটি ভেঙে নতুন প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৮৬/৮৭ সালের দিকে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের আরাজি খোর্দ্দ ভুতছাড়া গ্রামে শান্তবাজার থেকে মৌলভীবাজার পাঁকা সড়কের ব্রিজটি ১৫ মিটার দীর্ঘ ও ২.৪ মিটার প্রশস্ত একটি ফুড ব্রিজ স্থাপন করা হয়।
তিস্তা নদী বেষ্টিত কাউনিয়ার চরাঞ্চলসহ পাশের জেলা লালমনিরহাট সদরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে কাউনিয়া তকিপল হাটসহ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে সরু ব্রিজের কারণে রিকশাভ্যান মোটরসাইকেল ছাড়া বড় মাঝারি কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। পণ্যবাহী ও সরকারি সেবাদান যানবাহন ৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। সরু ব্রিজের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকে। প্রতিদিন ১০ গ্রামের মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আরাজি খোর্দ্দ ভুতছাড়া গ্রামের আবু তালেব হযরত আলী ও বাবু মিয়া বলেন, এই সড়ক দিয়ে ১০ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ উপজেলা সদর হয়ে দেশের নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন। পাঁকা সড়কে সরু ব্রিজ বসায় এই পথে যাতায়াতে মানুষের কষ্ট হয়। চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণ খরচ বেশি ও জরুরি সেবাদানে বিঘ্ন ঘটছে। কিন্তু সবাই আসে আর দেখে যায়, ব্রিজের কাজ হয় না।
অটোচালক মানিক মিয়া বলেন, ব্রিজটি সরু ও রেলিং ভাঙা যাত্রী নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজে অটো চড়লে সাইকেল নিয়ে যাওয়া যায় না। কখনো অটো থেকে যাত্রী নেমে ব্রিজ পার হয় নয়তো ৫ কিলোমিটার পথ বেয়ে যাতায়াত করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফা বেগম নাছিমা বেগম ও মারুফা বেগম বলেন, সরু ব্রিজটির কারণে বালু ইটের গাড়ি আসে না। নিরুপায় হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত এবং অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। এইখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা হলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।
এলজিইডির কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি সরু থাকায় মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছি। ইতোমধ্যে প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, অনুমোদন পেলেই দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করা হবে।
কেকে/এএম