গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের বাটি গ্রামে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর লোকজন কর্তৃক বাড়িঘর দখল ও হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বোনারপাড়া হোটেল পট্টি রুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাটি গ্রামের মৃত. আজিম উদ্দিন কাজীর ছেলে মাইদুল ইসলাম, তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাঘাটা উপজেলার বাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে তালাকপ্রাপ্ত রওশনারা, জাহাঙ্গীর আলম, জাকির হোসেন, আব্দুর রশিদ, নাজমা বেগম, ময়না বেগম, শাহিদা বেগম, রোজিনা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা দাঙ্গাবাদ ও খারাপ প্রকৃতির লোক।
বিগত ২০০২ ইং উল্লেখিত রওশনারা বেগমকে পারিবারিকভাবে মাইদুল ইসলাম বিবাহ করে ঘর সংসার করা কালে ১টি ছেলে সন্তান ও ২টি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমতাবস্থায় পারিবারিক ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে রওশনারার সাথে আমি মাইদুল ইসলামের দ্বন্দ্ব কলহ ও মনোমালিন্য তার সৃষ্টি হলে রওশনারা বিভিন্নভাবে হয়রানী করাসহ অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন ও বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা চালাইতে থাকিলে। মাইদুল ইসলাম বাধ্য হয়ে গত ২৭ মে তারিখে রওশনারা সাথে তালাক হয়।
এদিকে, তালাকপ্রাপ্ত রওশনারা মাইদুল ইসলামের বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা চালাইতে থাকেন। গত ২৫ জুন তারিখে সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটের সময় রওশনারাকে মাইদুল ইসলাম বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে। রওশনারাসহ উল্লেখিত বিবাদীগণ মাইদুল ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতারী ভাবে চড় থাপ্পড় কিল ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক ফোলা জখম করে। মাইদুল ইসলাম এর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকগুন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। এ সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ আর কোনদিন রওশনারাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে আবারো মারপিট খুন জখমসহ ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি দেয়। পরে মাইদুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রওশনারার লোকজন। মাইদুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করে। সে এখন নিরুপায় হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়।
মাইদুল ইসলাম বলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর রওশনারা তার বাবা রশিদ মন্ডল, ভাই জাহাঙ্গীর। মলিকা বেগম, ছেলে রাসেল, মিমকে তাদেরকে ভয় ভিতি দেখিয়ে মিথ্যা জমানবন্দী নিচ্ছেন। আমার সাথে যারা থাকবে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন তারা। মারপিটের ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সাঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কেকে/এআর