দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সজিব। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং বিতর্কিত অতীত কর্মকাণ্ড ঘিরে তার পদায়নকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) থাকাকালে তিনি আওয়ামী লীগের চিকিৎসক ফ্রন্ট ‘স্বাচিপ’-এর টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। যদিও সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারেন না।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা একদিকে রাজনৈতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অন্যদিকে আবার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন? এবং কীভাবে তাকে এমন স্পর্শকাতর ও দায়িত্বশীল পদে পদায়ন করা হলো?
উপজেলার প্রবীণ শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, সরকারি হাসপাতালে আমরা চিকিৎসা চাই, রাজনীতি না। ডা. সজীবকে দেখে মনে হয় একজন রাজনৈতিক মাঠকর্মী, চিকিৎসক নয়।
স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি স্বাচিপের ব্যানারে চিকিৎসার নামে দলীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। এখন তাকে খানসামার স্বাস্থ্য প্রশাসনের শীর্ষপদে বসানো মানে পুরো ব্যবস্থাকে দলীয় হেফাজতে দেওয়া।
এমনকি আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বাচিপ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। সেখানে কেউ সাংগঠনিক পদে থাকলে তাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশ্নবিদ্ধ করা যেতেই পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা অনুযায়ী, নিরপেক্ষতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদায়নের কথা থাকলেও ডা. সজিবের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আনুগত্যকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সজিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কেকে/ এমএস