গাজীপুরের কাপাসিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে এক নারীকে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহত নার্গিস আক্তার (৪৫), পেশায় গৃহিণী ছিলেন। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামের মো. শহীদ দর্জির মেয়ে ও আওলাদ হোসেনের স্ত্রী। নার্গিস তিন সন্তানের জননী।
বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহের জেরে নার্গিসের বাসুরের (স্বামীর ভাইয়ের) ছেলে সিএনজিচালক নাজমুল শেখের (৩০) হাতে তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল খোলা কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে গ্রামের বাড়িতে নার্গিস তার স্বামী আওলাদ হোসেন ও তার ভাইয়ের ছেলে নাজমুল শেখের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় নার্গিস আক্তার নিহত হয়েছেন। ওসি বলেন, কাপাসিয়া থানা থেকে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পুলিশ মরদেহ নিয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
নার্গিস আক্তারের বোন সুফিয়া আক্তার খোলা কাগজকে জানান, আমার বোনকে নাজমুল শেখ ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে খুন করেছে। আমি এখন নিহত বোনকে নিয়ে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছি।
উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড ধরপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান খোলা কাগজকে বলেন, গত রমজান মাসে নার্গিস আক্তারের স্বর্ণলংকার চুরি হয়। এ ঘটনায় মাদকাসক্ত নাজমুল শেখের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে। ওই ঘটনায় আজকে সকালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে নাজমুল শেখের আঘাতে নার্গিস আক্তার গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। পুলিশ তাদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় পুলিশ।
কেকে/এএস