ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। দেশের মাটিতে বিদেশি ড্রাগন ফল চাষ করে দারুণ সফলতা অর্জন করেছেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ইয়ামিন হোসেন তমাল। তিনি এ উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি। বর্তমান তার বাড়ি হচ্ছে বগুড়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রাগন চাষের পাশের জমিতে একটি মিশ্র ফলে বাগান করেছেন। এবং সে নিজে ও নিয়মিত ফসলের পরিচর্যা করেন পাশাপাশি শ্রমিকের প্রয়োজন হলে লেন। এবং প্রযুক্তির প্রয়োগসহ ইঞ্জিনিয়ার হলেও নিজেই কৃষি কাজ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার ইয়ামিন হোসেন তমাল বলেন, বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটার টেকনোলজি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শেষ করেন। বাগানটি ২০২০ সালের প্রথমে একটি ড্রাগন ফলের বাগান শুরু করেছিলাম। এবং তিনি বলেন আমি শখের বশে আধুনিক পদ্ধতিতে একটি ড্রাগন ফলের বাগান করেন। প্রায় ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে, তার মধ্যে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষাবাদ করে ভালো লাভের সম্ভাবনা দেখছেন।
এর পাশাপাশি বিগত ৪ বছর ধরে আপেল বরই, মালটা, আম, লেবু, পেয়ারা, তরমুজ, মিষ্টি লাউ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছের নার্সারি করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। এবং প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসছেন ড্রাগনের বাগান দেখতে ও ফল কিনতে আসে। এই ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তিনি আরো বলেন আমার বাগানে প্রায় ২ হাজার ড্রাগন গাছ আছে। একটি গাছ ১৫ বছর ধরে ফল দেয়।
২০২৪ সালে ড্রাগন চাষ করে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার অধিক ড্রাগন ফল বিক্রি করেন। চলতি বছর খরচ বাদে বাজার ভালো থাকলে ৮০- ৯০ হাজার টাকা লাভ করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
এনামুল হোসেন নামে শ্রমিক বলেন, আমি এখানে কাজ করে যে মজুরি পাই তা দিয়ে আল্লাহ রহমতে ভালোভাবে সংসার চালে।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, এ রকম শিক্ষিত যুবকেরা কৃষিতে এগিয়ে আসলে বেকার সমস্যার সমাধান হওয়ার পাশাপাশি কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। ইয়ামিন হোসেন তমাল জানান-সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
কেকে/এএস