চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সৈয়দপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ বগাচতর গ্রামে স্বামী মোছলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের (২৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত গৃহবধূর ফাতেমা আক্তার জোরালগঞ্জ থানার দক্ষিণ সোনাপাহাড় গ্রামের নুরুল আফসার মেয়ে। অপরদিকে স্বামী মোছলেম উদ্দিন উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর গ্রামের নুর মোস্তফার ছেলে।
শনিবার (২১ জুন) নিহত গৃহবধূর পিতা নুরুল আফসার বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় এই দুজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত গৃহবধূর পিতা নুরুল আফসার বলেন, বুধবার (১৮ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় তার মেয়ে ফাতেমা আক্তার মৃত্যুবরণ করেছেন। গত শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে স্বামী মোছলেম উদ্দিন ও শাশুড়ি সাজেদা আক্তার আমার মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে নির্যাতন করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ সময় তার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের আইসিইউতে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার রাতে সে মৃত্যুবরণ করে। হাসপাতালে ডাক্তাররা বলেছেন আমার মেয়ের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
তিনি আরো বলেন, মোছলেম উদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছর আগে আমার মেয়ে ফাতেমা আক্তারের বিয়ে হয়েছে। মুসলিম উদ্দিন পেশায় রিকশাচালক। অধিকাংশ সময় মদ গাঁজা সেবন করে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা নুরুল আফসার সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মুজিবুর রহমান তাকে বলেছেন দাফন শেষ করে মামলা করেন। আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বগাচতর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে থানার সামনে শনিবার সকালে মানববন্ধন করা হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শাশুড়ি সাজেদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বামী মোছলেম উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছ
কেকে/এএম