মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাচগাঁও আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে ফি নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন না করায় টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ জুন) বিকাল ৫টায় বিদ্যালয় সংলগ্ন বালুর মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলে, স্কুলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কথা বলে আমাদের স্কুলের স্যারেরা আমাদের থেকে ৭০০ টাকা নিয়েছে। ৪-৫ মাস হয়ে গেল এখনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। আমরা অনেক বার এই বিষয়ে স্যারদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের স্কুল থেকে বের করে দেয় কথা বলার কোনো সুযোগ দিচ্ছে না।
এ সময় তারা আরো বলেন, আমরা অনেক আগ্রহী করেই টাকা দিয়েছে কারণ এই ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের স্কুলে আগে কখনো হয় নাই। কিন্তু কী কারণে স্যারেরা অনুষ্ঠান দিচ্ছে না তা আমাদের জানা নেই। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। আর স্যারেরা যদি অনুষ্ঠান না করে তাহলে যেই টাকা নিয়েছে সেগুলো ফেরত দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, আমাদের স্কুলের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার জন্য ছাত্রদের মতামত চাইলে তারা সাড়া দেয়। ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও কনসার্ট হওয়া না হওয়া নিয়ে ছাত্রদের ২ পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এবং প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান বিলম্ব হচ্ছে।
পাচগাঁও আলহাজ ওয়াহেদ আলি দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দেওয়ান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা আনুমানিক একটা হিসাব করে দেখেছি টি-শার্ট, খাবার, ম্যানেজমেন্ট, পুরস্কারসহ একেক জনের পিছনে প্রায় ১ হাজার টাকার ওপরে খরচ পড়ে।
পরে ছাত্রদের থেকে ৭০০ টাকা করে এবং বাকি খরচ আমাদের থেকেই বহন করার সিদ্ধান্ত নেই। এতো বড় একটা অনুষ্ঠান প্রশাসনের অনুমতির জন্য অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে যায়৷ আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেই জুলাই মাসের যেকোনো একদিন আমাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি করে ফেলব। এর মধ্যে শুনলাম কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য মানববন্ধন করতেছে। তাদের যদি টাকা লাগে আমাদের বললেই তো আমরা দিয়ে দিই এটার জন্য তো মানববন্ধনের প্রয়োজন নেই। তাদের টাকা তারা নেবে এতে আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই।
কেকে/এএস