শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে কালাকুড়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অফিস সহকারী মোবারক হোসেন প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজ করা তো দূরের কথা সেখানে উপস্থিত না থেকেই ১২ বছর ধরে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে সুবিধা নিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাদ্রাসা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২০১৩ সালে মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম নিম্নমান সহকারী থাকা সত্ত্বেও সবার অগোচরে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অফিস সহকারী মোবারক হোসেন ২০১৩ সালে এমপিওভুক্ত হন। এমপিওভুক্তির পর থেকে মোবারক হোসেন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিতি হাজিরা খাতাতেও তার কোনো নাম নেই। কিন্তু এ বছরের মার্চ-২০২৫ পর্যন্ত সরকারি অংশের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। সম্প্রতি মাদ্রাসার সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি মোবারক আলীর বেতন-ভাতাদি বন্ধ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মোবারক হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আ. রশিদ বলেন, মোবারক হোসেনের বেতন না করালে আমাদের বেতন পাস হয় না৷ এজন্যই বাধ্য হয়ে এতোদিন তার বেতন করেছি। এপ্রিল মাস থেকে মোবারক হোসেনের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি (ইউএনও) জানান, তিনি লিখিতভাবে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএস