চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ও সওজের কার্যালয়ের সামনের ময়লার ভাগাড় সংবাদ প্রকাশের পর অপসারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) পৌরসভার গাড়িতে করে শ্রমিকেরা এসব অপসারণ করেন। দীর্ঘদিন ফটিকছড়ি পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) কার্যালয়ের প্রবেশ মুখ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। এর আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি পৌরকর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ফলে প্রশাসন তড়িৎ গতিতে এ ব্যবস্থা নেয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সকাল থেকে পৌর কার্যালয়ের নিজস্ব ভ্যানগাড়িতে করে অন্তত ১৮ জন নিজস্ব কর্মী এসব অপসারণের কাজে যোগ দেন। তারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে সুন্দরে পরিণত করেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. জানে আলম বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে দীর্ঘদিনের ভাগাড় অপসারণ করে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত আছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে।
ফটিকছড়ি পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসকের নির্দেশে এসব অপসারণ করা হয়েছে। এটি পৌরকর্তৃপক্ষের রুটিন ওয়ার্ক। তাছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় বেশি গুরুত্ব পায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সংবাদ মাধ্যমের বদান্নতায় আমরা বিষয়টির দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। জানার কারণে আমাদের এ ধরনের কাজ করতে সুবিধা হয়। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি। আমরা পৌরসভাকে একটি সুন্দর ও আধুনিকতায় সমুজ্জ্বল করতে চাই।
এর আগে এই ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে পুরো এলাকা অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছিল। এসবের উৎকট দুর্গন্ধে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ব্যবসায়ী লোকজন। সদরের বাসস্টেশন মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী সাংবাদিক শহীদুল আলম বলেন, আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলায় আমরা পৌরপ্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করবো তাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’
উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভপতি সোলায়মান আকাশ বলেন, খোলা স্থানের ভাগাড়ের ময়লা বর্জ্যগুলো অপসারণ করায় এখন মানুষের মধ্যে স্বস্থি ফিরেছে। কর্তৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ায় ধন্যবাদ।
কেকে/এজে