পটুয়াখালী দশমিনায় নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর এক কিশোরীকে গ্রামীণ টাওয়ার থেকে উদ্ধার করেছে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১২টায় সময় উপজেলার বেতাগী সানকীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত সীমা বেগম (১৫) ওই গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর সর্নামতের বড় মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সীমা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন এবং জিনপরির তাকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। গত শনিবার সন্ধ্যার সময় সীমা বেগম ঘর থেকে বের হয়ে যায়। মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাত আনুমানিক ৯টায় সময় মাইকিং করে হারানোর খবর প্রচার করেন।
সকাল ১১টায় সময় জনৈক এক অটোরিকশা চালক বেতাগী বাজারের পশ্চিম পাশে গ্রামীণ টাওয়ারের চূড়ায় কাউকে দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজনকে জানালে লোকজন এসে দেখতে পেয়ে দশমিনা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেয়। পরে সিভিল ও ডিফেন্স ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর সীমার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন তার মেয়ে বলে শনাক্ত করেন। পরে তার কাছে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হস্তান্তর করেন।
সীমার বাবা বলেন, আমার মেয়ে সীমার সঙ্গে জিন পরি আছে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। এর আগে মাদার গাছ ও বটগাছ থেকে বহুবার উদ্ধার করছি। এ ছাড়াও অনেকবার নিখোঁজ হয়েছে ৭ থেকে ৮ দিন পর বাউফল ও গলাচিপা থেকে উদ্ধার করেছি। শনিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয়ে যায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইকিং করি। রোববার সকালে বেতাগী বাজারে গিয়ে দেখি লোকজন গ্রামীণ টাওয়ারের সামনে ভিড় করে দেখতেছে টাওয়ারে চূড়ায় কে যেন বসে আছে। তখন আমি দেখি আমার মেয়ে সীমা। পরে স্থানীয় লোকজন দশমিনা ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করলে তারা উদ্ধার করেন।
দশমিনা সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের অফিস নাম্বারে রোববার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটের সময় ৯৯৯ নাম্বারে স্থানীয়রা ফোন করে বিষয়টি জানালে আমরা ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করি। বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করি। উদ্ধার কাজে কিশোরীর চাচা মো. ইসরাক হোসেনের সহযোগিতা পাই। আমাদের পোশাক দেখে ওই কিশোরী টাওয়ারের থেকে লাফ দিত, তাই তার চাচাকে আগে পাঠিয়ে পেছনে পেছনে আমাদের টিমের সদস্য উঠে। তার চাচা তাকে ধরার পর নিচে নেমে আসে। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। কিশোরী এখন সুস্থ আছে।
কেকে/এএম