চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে সড়ক ও জনপদ (সওজ) কার্যালয়ের প্রবেশ মুখ ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। প্রতিদিন এ ভাগাড় টপকে অফিস করেন সওজের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লিসহ স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতেও ভাগাড়টি অপসারণের উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১৪ জুন) দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কটির পাশে উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর (সওজ) কার্যালয় (ফটিকছড়ি) ও সুধিন্যা জামে মসজিদ। সওজ কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের এক পাশ জুড়ে আবর্জনা স্তূপ করে রাখা আছে। আবর্জনা ঘেঁষে লাইন করে রাখা হয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা।
মসজিদের মুসল্লীরা জানান, প্রতিদিন এই ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসে। যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাজার কমিটি ও পৌর সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বলার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
ইব্রাহীম নামের এক পথচারী বলেন, প্রতিদিন এই ভাগাড়ের পাশ দিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে নিতে হয়। দুর্গন্ধে অনেক সময় বাচ্চার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এমন খোলা স্থান থেকে ময়লার ভাগাড় অপসরণ করা জরুরি।
ফটিকছড়ি সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আয়মন বলেন, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন আমাদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাতায়াত কষ্টকর। মানুষ নাক-মুখ চেপে দম বন্ধ করে যাতায়াত করছে। ময়লার ভাগাড়টি দ্রুত সরানোর জন্য আমরা দাবি জানাই।
অটোরিকশা চালকেরা জানান, তাদের নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় তারা আবর্জনার স্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেখান থেকেই যাত্রী ওঠানামা করেন। দুর্গন্ধে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সোলায়মান আকাশ বলেন, খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার ফলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। এটি সরানো জরুরি।
সড়ক ও জনপদ (সওজের) ফটিকছড়ি সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুহাম্মদ ফারহান বলেন, আমরা পৌর কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা হয়েছে, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শিগগিরই এটি অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত এসব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলা হবে এবং ভাগাড়ের নতুন স্থান নির্ধারণ করা হবে।
কেকে/এএম