মাত্র ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়েছেন স্বামী। তিন দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে স্বামী স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে আদালতে তাকে প্রেরণ করা হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি স্বামীর সঙ্গে উপজেলার সীডস্টোর উত্তর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন সকালে স্বপন গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রীর কাছে ৫০০ টাকা চান। সাবিনা টাকা দিতে রাজি না হলে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ঘরের ফ্রিজের পাশে থাকা শিল দিয়ে সাবিনার মাথায় আঘাত করেন এবং ধারালো বটি দিয়ে উপর্যুপরি কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে স্বামী লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে বাসা থেকে স্ত্রীর মোবাইল ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
পরদিন থেকে পরিবারের সদস্যরা বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে না পেরে বাসায় গিয়ে দরজায় তালা দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে খাটের নিচে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, তিন দিন অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি এলাকার একটি মেস থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বপন। তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শিল ও বটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার পাঞ্জাবির পকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিহতের মোবাইল ফোনও।
কেকে/এএম