জয়পুরহাটে কালাই পৌরসভার এলাকায় পাঁচশিরা বাজার থেকে সরাইল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে ময়লার ভাগাড় স্থাপন করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পচা -দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রব এবং বর্জ্যের কারণে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। সড়কে পথচারীরা নাক চেপে চলাচল করেন। দ্রুত এ ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে ২০২১ সালের কালাই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২৫ বছরে কালাই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করতে পারেনি। ওই সময় থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের বিভিন্ন স্থান ও নদীতে ময়লা ফেলে আসছে। এতে শহরের পরিবেশ চরম আকারে দূষিত হয়।
গত তিন মাস ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি কালাই পৌরসভা মহাসড়কের পাঁচশিরা ও সরাইল বাসস্ট্যান্ড নামক স্থানে ময়লা ফেলা শুরু করে। এতে ওই ময়লা ফেলার স্থানটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খোলা স্থানে ময়লা ফেলায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাতাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। এ মহাসড়কে প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার যানবাহনে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়া ওই ভাগাড়ের চারদিকে গ্রামাঞ্চল রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা ও যানবাহনে চলাচলকারী মানুষ দূষিত পরিবেশে জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা নূর মোহাম্মদ, রেজাউল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ফেরদৌস, আবু হেনা,ও তহমিনা বলেন, সড়কের দুই পাশে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলায় বসবাস করা খুবই কষ্টকর। দুর্গন্ধে গাড়ির জানালা ও দরজা বন্ধ রাখা হচ্ছে। গাড়ির যাত্রীরা নাক চেপে চলাচল করছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে নানাবিধ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত এ ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম আজম বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় স্থাপন করায় আমরা খুবই কষ্টে আছি। ময়লার দুর্গন্ধে বাড়িতে বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত এ ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান তারা।
বাসযাত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ চরম আকারে দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত সড়কের পাশ থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, পৌরসভার বর্জ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। এতে শিশু ও বয়স্কদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে পৌরসভার সঙ্গে ইতোমধ্যে একটি সভা হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে বায়ুবাহিত রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে। তিনি আরো বলেন, ওই স্থানে মাছি বংশ বিস্তার করে। ফলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ রোগ হতে পারে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শামীম আক্তার জাহান বলেন, আমরা জায়গা পেলে ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন দ্রুত নির্মাণ করা হবে।
কেকে/এএস