সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, পাহাড় ধসের শঙ্কা
কৌশিক দাশ, বান্দরবান
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৩:০১ পিএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

গত কয়েকদিন থেকেই থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে বান্দরবানে, বৃষ্টির সঙ্গে বইছে প্রবল বাতাস। বৃষ্টিতে শহরের কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আর শহরের পাশে বয়ে যাওয়া সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে নিম্নাঞ্চল, নদীর তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের মনে।
 
বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকাসহ সাত উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে তুলেছে কয়েক হাজার পরিবার, আর টানা বৃষ্টির কারণে এ পরিবারগুলো এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন থমকে গেছে আর কাজ ছাড়া স্থানীয়রা ঘরের বাইরে যাচ্ছে না, সড়ক ও নদীপথে ও যাত্রীর পরিমাণ কমে গেছে অনেকটা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যা এই বছরে বান্দরবানে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি,বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় অতিবৃষ্টির কারণে ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায়  আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্যোগ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা, মেডিকেল টিম গঠনসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বান্দরবান সদরে ৪৬টি, রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়ি  উপজেলায় ১৯টি, থানচি উপজেলায় ১৫টি, লামা উপজেলায় ৫৫টি, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, দুর্যোগ মেকাবিলায় বান্দরবানের ৭ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা, মেডিকেল টিম গঠন, জরুরি বিদ্যুতের ব্যবস্থা, বিকল্প নৌকার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কর্ম সম্পাদন করা হয়েছে এবং দুর্যোগের এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

কেকে/এএস

মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close