মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড মো. মামুন শরীফের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৬ মে) সকাল এগারোটার দিকে গজারিয়া উপজেলা সড়কের গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় ঘণ্টা ব্যাপী স্থায়ী এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ একজন ভালো মানুষ। গজারিয়া উপজেলায় যোগদান করার পর তিনি অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্ত্র-গোলা বারুদ উদ্ধার করেছে। তার কারণে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা করতে সমস্যা হওয়ায় একটি প্রভাবশালী মহল তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করে ভুয়া কল রেকর্ড, ব্যাংকের টাকা জমা দেওয়ার রশিদ ছড়িয়ে দিয়ে এগুলো তার বলে দাবি করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গজারিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অহিদুজ্জামান অহিদ বলেন, 'কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে নয় বিবেকের তাড়নায় থেকে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আপনারা এসিল্যান্ড তাড়িয়ে দিয়ে আপনাদের রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন তা হতে দেওয়া যাবে না। আমরা তার বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারে নিন্দা জানাই'।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বলেন, 'যদি সামগ্রিক মূল্যায়ন করি তবে গজারিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ তার কাজের জায়গায় সফল। তিনি মেঘনা নদীর গুয়াগাছিয়া অংশে অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনায় করায় তারা তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনারা এসব বন্ধ না করলে আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিব'।
অভিযোগের বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দিয়ে সেটা আমার বলে দাবি করা হচ্ছে, আপনার একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন এটি আমার কন্ঠ নয়। অবৈধ বালুমহাল পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আমি ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করায় তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আমি সবাইকে বলব আপনারা অপপ্রচার এবং গুজবে কান দিবেন না'।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কয়েকটি আইডি থেকে একটি ভয়েস রেকর্ড ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার কয়েকটি রশিদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভয়েস রেকর্ডটির গজারিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড মো. মামুন শরীফ ও তাকে চাঁদা প্রদান করা এক ব্যক্তির বলে দাবি করা হয়। এদিকে ভয়েস রেকর্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় ব্যাংকে টাকা পাঠানোর বিষয়ে দুজন ব্যক্তি কথা বলছেন। টাকা পাঠানোর রশিদ বাহিরে কিভাবে ফাঁস হলো এ ব্যাপারে একজনের কাছে জানতে চাইছেন আরেকজন।
কেকে/এআর