ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে রাহেলা বেগম (৪৫) নামে পাঁচ সন্তানের এক জননীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৪ মে) রাতে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহতের মুখ ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটা হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। নিহত রাহেলা ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের ওয়াজেদ মিয়ার স্ত্রী এবং নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, নিহত রাহেলার একমাত্র ছেলে ইউসুফ মিয়া কয়েক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করার পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। এরপর স্বামী ওয়াজেদ মিয়া ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। এ বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
নিহতের ছোট ভাই দানেছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগনে প্রেম করে বিয়ের পর থেকে দুলাভাই আমার আপাকে নির্যাতন করতেন। আমরা নিশ্চিত, তিনিই আপাকে মেরে জমিতে ফেলে রেখেছেন। মরদেহের মুখ ও চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম