ঈশ্বরদী উপজেলার চররূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভেজ রেজার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রুপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (অব:) আমিরুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও অভিভাবক সদস্য মাসুদ রানা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র নাঈমুর রহমান লালচাঁদ, প্রাক্তন ছাত্র শিবলু আহম্মেদ সহ অন্যান্যরা।
এ সময় স্থানীয় সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষক নামের কলঙ্ক, লম্পট পারভেজ রেজা ২০০৬ সালে বাঘইল স্কুলে চাকরিরত অবস্থায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে সাময়িক বরখাস্ত হন। কয়েকমাস পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আবারো চাকরি ফিরে পান। ২০১১ সালে চররূপপুর স্কুলে যোগদানের পর থেকেই নানা দূর্নীতি, অনিয়ম আর নিজের স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়টিকে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়েছেন। এক যুগ ধরে বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাতের টাকা ভূয়া ভাউচার তৈরি করে তিনি লোপাট করেছেন।
সাম্প্রতি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ধুমপান, শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমান পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তের নির্দেশ দিলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়াট চেষ্টা চলছে। এতে সুষ্ঠু তদন্তে একধরনের বাধা সৃষ্টি করছে লম্পট পারভেজ রেজা।
বক্তারা আরো বলেন, দুর্নীতিবাজ পারভেজ রেজাকে অপসারণ না করে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। তাই দ্রুত সময়ে মধ্যে তাকে অপসারণ করে বিদ্যালয়টিকে কলঙ্কমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। তাকে অপসারণ না করা হলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে লম্পট, দুর্নীতিবাজ পারভেজ রেজাকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনকারীরা।
কেকে/এআর