বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়ে সুহেল আহমেদ (২১) নামের এক টাইল মিস্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নারয়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত যুবকের বন্ধু আব্দুল হামিদ চৌধুরী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনায় সময় সে নিজেও আহত হয়েছিলেন। প্রায় দশ মাস পর আহত অবস্থায় বেঁচে ফেরা সেই যুবক বন্ধু হত্যার অভিযোগ এনে গত ২২ মে এজাহার দাখিল করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনূর আলম। তিনি জানান, মামলায় দেড়শ থেকে দুইশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বাদী আব্দুল হামিদ চৌধুরী জানান, ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই তিনি ও তার বন্ধু সুহেল আহমদ (২১) সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় টাইলসের কাজ করতে আসেন। তারা ‘সুপিরিয়র ইন্টারন্যাশনাল’ নামের প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন এবং প্রিয়ম নিবাস (ইব্রাহীম খলিল শপিং কমপ্লেক্স)-এর ২য় তলায় ডাচ বাংলা ব্যাংকে কাজ করতেন। সারাদেশে ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র হলে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। ২০ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির কাজ বন্ধ রেখে সেখানে অবস্থান নেওয়া কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এবং সাবেক এমপি শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের কোটা বিরোধী অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জন দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনার সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় আব্দুল হামিদের বন্ধু সুহেল আহমদের। আহত অবস্থায় হামিদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েকদিন পর ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুহেল আহমদের মরদেহ।
বাদী আরো জানান, ঘটনার সময় তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কেকে/এআর