মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরো ৪৪ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১৪ মে) ভোরে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।
আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু আছে। আটকদের মধ্যে ৩৮ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। অন্যদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি বাঘেরহাট জেলায় ও ৩ জনের বাড়ি যশোর জেলায় বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
এর আগে গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বিএসএফ পুশইন করেছিল বিজিবি। এ সময় বিজিবি কর্তৃক আটক ৫৯ জনকে যাছাই বাছাই শেষে বিজিবি তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পর বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বড়লেখা থানা পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পর পুশইন ঠেকাতে বড়লেখা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ফের অবৈধভাবে ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনকে ঠেলে পাঠায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বিজিবিকে জানান। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, বুধবার ভোরে আরো ৪৪ জনকে বিএসএফ বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করেছে। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক।
৫২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান গণমাধ্যমর্কীদের জানান, বুধবার ভোরে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর তাদের স্থানীয় শাহবাজপুর বালিকা বিদ্যালয়ে রাখা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে গমন করেন। সম্প্রতি ভারতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়। সেখানে পুলিশ তাদের জিনিসপত্র রেখে দেয়। এরপর তাদের সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে। সীমান্তের ওপারে আরো মানুষকে আটক করে রেখেছে বিএসএফ। তাদেরও অবৈধভাবে পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তবে যাছাই বাছাই শেষে আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা বাংলাদেশি। আটককৃত ৪৪ জনকে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তরের জন্য বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে।
কেকে/ এমএস