ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে( ইবি) নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ইবি শাখা ছাত্রলীগের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সায়মুম খানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে তাকে আটক করে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল ও তার বন্ধুরা। পরবর্তীতে তাকে নিকটস্থ ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সায়মুম গত বছরের ৫ জুন আনুমানিক রাত ৭টা ১৩ মিনিটে টুরিজম বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত সিদ্দিকের মাধ্যমে কল দিয়ে শেখ রাসেল হল বর্তমানে শহীদ আনাস হলে ৪০৩ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে সায়মুম ভুক্তভোগী খায়রুলকে ছাদে নিয়ে যায় এবং ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সে খায়রুলকে বেপরোয়াভাবে মারধোর করে এবং ধাক্কা দিয়ে সিড়িতে ফেলে দেয়। এ সময় খায়রুল হাতে পায়ে ব্যথা পায় এবং তার শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তক্ষরণ হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী খায়রুল বলেন, আমার বিভাগের ফ্রেন্ড ওর প্রেমিকা ছিল। আমার ফ্রেন্ড হওয়ার সুবাদে আমি ওর সাথে ঘুরতেছিলাম সেটা দেখে এই সায়মুম আমাকে ডেকে নেয়। এরপর আমাকে ছাদে নিয়ে ভীষণভাবে মারধর করে, লাথি দিয়ে নীচে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। সেদিন আমি অনেক কষ্টে ওখান থেকে বেচে আসি। পরবর্তীতে এঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন দিলেও ছাত্রলীগের চাপে কোন বিচার হয়নি বলে জানায় সে।
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই রাকিব বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আমরা ভুক্তভোগীর অভিযোগপত্র পেয়েছি। ওসি স্যার একটি কাজে বাইরে থাকায় আমরা এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। ওসি স্যার এসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন৷
কেকে/ এমএস