মুন্সীগঞ্জে একটি পিকনিকের লঞ্চ ভাঙ্চুর ও যাত্রীদের মারধরের ঘটনায় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মো. ফিরোজ কবির গ্রেফতারের বিষয়টি করে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ‘এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে কিছু যাত্রী একটি লঞ্চ ভাড়া করে চাঁদপুরের মোহনপুর ঘুরতে যায়। ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে কিছু কেনার জন্য থামে। এ সময় স্থানীয় ছাত্র–জনতার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগে স্থানীয়রা লঞ্চ ভাঙ্চুর করে। এ সময় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে এক যুবক দুই তরুণী যাত্রীকে লঞ্চের ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে একটি বেল্ট দিয়ে পেটায়। এ ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন যুবক আরেকজন নারীকে মারধর করে। তবে, তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এমভি ক্যাপ্টেন নামে লঞ্চটি পরে ঢাকার উদ্দেশ্য মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, জিহাদসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অভিযুক্ত
নেহাল আহমেদ জিহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি শুধু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার
চেষ্টা করেছি। কিছু লোক লঞ্চে উঠে লুটপাট করছিল। সে সময়ে আমি বন্ধুদের নিয়ে
পরিচিতদের সরিয়ে আনি। পরে দেখি দুইজন নারী বিপাকে পড়েছে। তারা জনতার
রোষানল থেকে বাঁচতে আমাকে অনুরোধ করে। তখন আমি ভাই হিসেবে তাদের সতর্ক করি
এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শাসনমূলকভাবে ২–৩টি বাড়ি দিই।
কেকে/ এমএস