সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে শিক্ষকের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করার প্রতিবাদে ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে আলী হোসেন নামে এক জামায়াত নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকালে উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আলী হোসেনের বুকে গুলি লাগে। তিনি জামায়াতের রোকন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মধ্যে হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আক্রমণ করে। এ সময় উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী,সীতাকুণ্ড জামায়াতের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি কতুব উদ্দীন শিবলী, ছাত্রশিবির সীতাকুণ্ড দক্ষিণ শাখার সভাপতি আশ্রাফসহ ১০ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে নগরী আল আমীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মুখে উত্তরজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধও করে রাখা হয়।
সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কুতুবউদ্দিন শিবলী বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামকে রাতে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা উপুর্যপরি হামলা চালায়। তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে জঙ্গল সলিমপুরে এক শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম সালাম। তিনি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা বলেন, একটি প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সলিমপুরে ঘটনায় সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সীতাকুণ্ড কামিল (এম.এ) মাদরাসা ও কুমিরা ইউনিয়নের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কেকে/এআর