প্রকৃতির এক অপরূপ রঙিন ছোঁয়ায় সেজেছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা। বিভিন্ন গ্রাম জুড়ে এখন শুধু কৃষ্ণচূড়ার লালিমা। পথচারীদের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার শোভা। চলমান গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদও যেন এখানে এসে একটু শান্ত হয়।
গ্রীষ্ম এলেই প্রকৃতির এই প্রাণবন্ত রূপ দেখা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রাম,গ্রামের মেঠোপথের অংশজুড়ে।
ষড়ঋতুর এই দেশে গ্রীষ্মের শুরুতে প্রকৃতি মেলে দিয়েছে তার ঐশ্বর্য। উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দির বিলপাড়, সফিরকান্দি, কৃষ্ণনগর, ভেলানগর, পাহাড়িয়াকান্দি গ্রামে শান্ত জলের তিতাস নদীর পাশ ঘেঁষে চলে গেছে মেঠোপথ। সেই মেঠোপথের পাশে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়ার ফুল। মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিতে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা।
সম্প্রতি, পথে যেতে যেতে চোখে পড়ে অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ। এই সৌন্দর্য পাশ কাটিয়ে না গিয়ে সেখানে থেমে দেখা মেলে কয়েকজন ভ্রমণপিপাসু মানুষের। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা বলছিলেন, এখানে এসেছেন বুকভরে নিঃশ্বাস নিতে। বাঁচতে হলে প্রকৃতিকে ধারণ করতে হবে।
এ যেন ঝলমলে রঙের খেলা। কখনো কখনো বাতাসে দুলছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। মাঝারি আকারের গাছে এলোমেলো ঢালগুলো নুয়ে আছে। গাঢ় লাল, কমলা, হালকা হলুদ রঙের ফুলে ভরে গেছে প্রতিটি শাখা।
বৈশাখের গনগনে সূর্য, গ্রীষ্মের এই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়।
খুব ভোরে এখানকার দৃশ্য একরকম, বিকালে অন্যরকম। একপাশে নদী, আরেক পাশে নয়নাভিরাম সবুজ প্রান্তর। মাঝখানে মেঠোপথের পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া। প্রকৃতি তার সবটুকু সৌন্দর্য যেন বিলিয়ে দিয়েছে এখানে। প্রকৃতি আমাদের দেয় অপরিমেয় স্বস্তি, অনাবিল প্রশান্তি।
কেকে/ এমএস