সাভারে পিতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ে মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা (২৩) বিরুদ্ধে। পরে নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেণ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে সাভারের মজিদপুরের কাঠালবাগান এলাকার আব্দুল কাদেরের ভাড়া বাড়ির ৫ম তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার, তিনি নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আটক জান্নাত জাহান শিফা তারই মেয়ে। প্রায় ৫ মাস আগে তারা ওই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বলে জানা গেছে।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, ভোর চারটার দিকে ৯৯৯ থেকে একটি ফোন আসে। জান্নাত জাহান শিফা নামের এক নারী বলেন তার বাবাকে তিনি হত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য বলেন তিনি। তার দেওয়া খবরেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে জান্নাতকে আটক করা হয়েছে।
জান্নাত জাহান শিফা জানান, গতকাল রাতে ভাতের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে বাবাকে খাবার খাওয়ান, পিতা ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৪টার দিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৯৯৯ এ কল করেন শিফা।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালে নাটোর জেলার সিংড়া থানায় পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন শিফা। সেই মামলায় জেলখেটে সাভারে মেয়ের সাথে আবার বসবাস শুরু করেন সাত্তার। এ ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। হত্যার এটাই কারন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ সোরওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় জান্নাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কেকে/এমএস