দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দণ্ডিত কারাবন্দি নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তুহিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। তার সহকারী ছিলেন মশিউর রহমান ও মোহাম্মদ শাহিন হোসেন বাবু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক।
আইনজীবী হাসান রাজিব প্রধান জানান, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ এর দুই ধারা এবং ২৭ এর এক ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এ ২৬ এর দুই ধারায় শাহরিন ইসলাম তুহিনকে তিন বছরের জেল এবং ২৭ এর এক ধারায় ওনাকে ১০ বছর জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সাজা দুটি দুদক আইনে মোট ১৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
হাসান রাজিব প্রধান আরো জানান, ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্সের ১৬৫ এবং ১৬৬ ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করে ইনকাম ট্যাক্স অথরিটি। এ মামলায় ১৬৫ ধারায় তাকে তিন বছরের জেল এবং ১৬৬ ধারায় পাঁচ বছরের জেল সাথে ৮২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায় আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়।
এ আইনজীবী জানান, এরপর ওনি দেশে এসে ট্রায়াল কোর্টে সারেন্ডার করেন। তারপর হাইকোর্টে আপিল করে ওনি আজকে জামিন পেলেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০০৮ সালে তুহিনেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। রায় ঘোষণার ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ২৯ এপ্রিল তিনি আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করেন।
ওই দিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত তুহিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কেকে/ এজে