সাঘাটায় কোরবান আলী নামে এক যুবক, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে মার্কেটিং ম্যানেজারের চাকরি ছেড়ে দিয়ে হাঁস-মুরগি পালন করে আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল যদি অটুট থাকে, তাহলে সফলতা নিশ্চিত, এটাই করে দেখাল। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পূর্ব অনন্তপুর গ্রামের শাহজাহান আলী আজাদের ছেলে কোরবান আলী। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ঢাকায় গার্মেন্টসে মার্কেটিং ম্যানেজারের পদে চাকরি করে আসছিলেন তিনি। হঠাৎ একদিন গণমাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক কষ্টে জমানো পুঁজি দিয়ে শুরু করেন হাঁস ও মুরগির খামার।
বর্তমানে নিজ বাড়ির পাশেই পুকুরের ধারে গড়ে তুলেছেন হাঁস-মুরগির খামার ও হ্যাঁচারি। সাঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে হাঁস-মুরগি পালন করতে থাকেন। তার খামার ও হ্যাঁচারিতে এখন পুরুষ ও নারীসহ ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। ৪৫ একর জমিতে হাঁস, মুরগি, গাভী, ছাগল, ভেড়া, মৎস্য পালনসহ এমিটি এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডে ৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে করে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন তিনি। খামারে উন্নত জাতের হাঁস মুরগি বড় হলে দি মর্নিং এগ্রো লিমিটেডের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয় বলে জানালেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোরবান আলী।
তার এই অভাবনীয় সাফল্য দেখে এলাকার অনেক যুবক খামার দেওয়ার কথা ভাবছেন। এমিটি এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কোরবান আলী বলেন, সরকারিভাবে ঋণ অথবা অনুদান পেলে প্রতিষ্ঠান আরো বড় করে ৩ থেকে ৪ শত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব।
সাঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. আশরাফুল আলম জানান, আমি উক্ত খামার পরিদর্শন করেছি, তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সব সময় ওই খামারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
কেকে/এএস