মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সীমানাধীন চর বলাকী এলাকায় থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে শারীরিক গঠন, পরনের জামাকাপড় ও সাথে থাকে চশমা থেকে ধারণা করা হচ্ছে এটি দুই ধরে নিখোঁজ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (৭১)। তিনি দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক পদে কর্মরত হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর একটার দিকে গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীর চর বলাকী এলাকায় একজন পুরুষের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন তারা। বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, 'শুক্রবার জুমার দিন, আমি বাসা থেকে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। যাবার পথে দেখলাম মেঘনা নদী থেকে আমাদের বাজারের দিকে যাবার খালে এক ব্যক্তির লাশ ভাসছে। লাশটি উলটা হয়ে ছিল, তবে এটি কীভাবে এখানে আসলো তা আমার জানা নেই। নামাজ পড়ে এসে দেখি উৎসুক জনতার ভিড় জমে গেছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, 'নদীর চর বলাকী এলাকা থেকে একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সীমানার পড়েছে। বিষয়টি তারা দেখছে'।
শুক্রবার সাড়ে সাতটার দিকে বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান বলেন, 'স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করি আমরা। শারীরিক গঠন, পরনের জামাকাপড় ও সাথে থাকা চশমা দেখে ধারণা করা হচ্ছে লাশটি বিভুরঞ্জন সরকারের। বিষয়টি শতভাগ হওয়ার জন্য তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো'।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তিনি রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে আজকের পত্রিকার কার্যালয়ের (বনশ্রী) উদ্দেশে রওনা দেন। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার বাবা নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তাতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অফিসে যাওয়ার সময় বিভুরঞ্জন সরকার মুঠোফোনটি বাসায় রেখে যান। রাত ৯টার ভেতর তিনি বাসায় না ফিরলে আজকের পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেলে জানতে পারেন যে তার বাবা বিভুরঞ্জন সরকার অফিসে যাননি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করছিলেন তারা।
কেকে/এআর