হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার ও সংলগ্ন এলাকায় ২ দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলার প্রথম দিনের কার্যক্রম এবং আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি এসব এলাকা পরিদর্শন করেন।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য বাঙালি জাতির প্রাণের এই উৎসবকে রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবছর নানাবিধ আয়োজন করেছে রাজউক। পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রেইনথিউওরি নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজউক আয়োজন করছে ২ দিন ব্যাপী এই চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উৎসব। এরই অংশ হিসেবে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় মেলাপ্রাঙ্গণ পরিদর্শন এবং এ আয়োজনকে উৎসবমুখর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বর্ষবরণের এই উৎসব আয়োজনে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটার এলাকায় থাকছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও নানাবিধ জিনিসের বিভিন্ন স্টল, শিশু কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য কিডস জোনসহ বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক রাইড। যার মধ্যে রয়েছে- নাগরদোলা, মেরি গো রাউন্ড, লম্ফ জম্ফ ইত্যাদি। এছাড়াও থাকছে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সকলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রাজউক চেয়ারম্যান আগামীকাল বিকাল ৪টায় বৈশাখী মেলায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহনকারীদের সাথে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করবেন বলেও জানা গেছে।
আজ মেলা পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং রাইডসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। মেলায় আগতদের সাথে রাজউক চেয়ারম্যান কথা বলেন। হাতিরঝিল এলাকায় এ ধরনের আয়োজনে দর্শনার্থীরা তাদের আনন্দের কথা এবং মেলা ভ্রমণকালে তাদের সুবিধা অসুবিধাসমূহ তাকে অবহিত করেন। এ সময় মেলাপ্রাঙ্গণে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য আবর্জনা নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান অসন্তোষ প্রকাশ করে আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে।
এছাড়াও মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং যে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব এ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে দেশবাসীর সাথে আমরাও প্রস্তুত আছি। আনন্দ খুশির মধ্য দিয়ে আমরা কালকের উৎসব পালন করবো। রাজধানীবাসী যেন নিশ্চিন্তে আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসব পালন করতে পারে, তার জন্য রাজউক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এ বছর আমরা ঢাকাবাসীর কাছে অন্যরকম একটি আয়োজন পৌঁছে দিব।’
এ সময় তিনি রাজধানীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং সকলে সপরিবারে এ আনন্দ ভাগাভাগি করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মেলা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদসহ মেলা আয়োজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
কেকে/ এমএস