মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫,
৩ আষাঢ় ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
শিরোনাম: জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা      সচিবালয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত      পোশাক খাতে নতুন চ্যালেঞ্জ      ভোটের আগেই হচ্ছে বৃহত্তর ইসলামি ঐক্য      তেল আবিব ও হাইফায় নতুন ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরান      ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস      বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে শনাক্ত ২৩৪ জন      
গ্রামবাংলা
একই কর্মস্থলে ১৫ বছর
চরফ্যাশনে অফিস সহকারীর আলিশান বাড়ি, গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৮ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী আব্বাস উদ্দিন ১৫ বছর একই কর্মস্থলে থেকে তার গ্রামের বাড়িতে নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল আলিশান বাড়ি ও নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি। তার আলিশান বাড়ি ও অঢেল সম্পত্তির নেপথ্যে রয়েছে অনিময় ও দুর্নীতির মহাযজ্ঞ।
 
জানা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী আব্বাস উদ্দীন আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ গ্রামের আবদুল খালেক মাস্টারের ছেলে। তার ভাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমানের ছত্রছায়ায় তিনি  অফিস সহকারী পদের এ চাকরি বাগিয়ে নেন এবং চাকরির শুরু থেকেই তিনি নিজ উপজেলা চরফ্যাশনে কর্মরত থেকে স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ কামিয়েছেন।

স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ, চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী পদে চাকরি নেওয়ার পর থেকে নদীতে বিভিন্ন মৎস্য অভিযানের সময় উপজেলার প্রতিটি মৎস্য ঘাটের জেলেদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নেন। পাশাপাশি জেলে পুনর্বাসনের নামে জেলেদের হয়রানি ও অনৈতিকভাবে অর্থহাতিয়ে নেওয়াসহ মৎস্য অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের কাছ থেকে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি ও আঁতাত করে জেলেদের বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন। তার স্থানীয় এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে স্থানীয় জেলে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং অফিসের কর্মকর্তারাও তাকে ম্যানেজ করেই চলতে হয়েছে। যার সুযোগ নিয়ে আব্বাস উদ্দিন নদী থেকে ঘাট এবং অফিস পর্যন্ত সবক্ষেত্রে সবাইকে জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন মৎস্য ঘাটের জেলেরা জানান, চরফ্যাশন মৎস্য অফিসের অফিস সহকারী আব্বাস উদ্দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানসহ বিভিন্ন অভিযানের পূর্বে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন। এছাড়াও নদীতে কোনো অভিযান পরিচালনা করার আগেই জেলেদের ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেন এই অফিস সহকারী আব্বাস।

বিভিন্ন সময়ে সে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জেলেদের কাছ থেকে বড় সাইজের মাছ নিয়ে আসেন। জেলেদের জাল, মেশিন, বকনা বাছুর ও জেলে পুনর্বাসনের তালিকায় নাম যুক্ত করার লোভ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন আব্বাস উদ্দিন।
 
রোববার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের জাটকা সংরক্ষণ অভিযান চলাকালীন সামরাজ মৎস্য ঘাট, কচ্চপিয়া, নতুন স্লুইস, বকশি, বাংলাবাজার, গাছির খাল, কাশেম মিয়ার বাজার, ভাড়ানি বাজার ও চৌকিদার খাল বাজার মৎস্য ঘাট এলাকার জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করছেন।
 
নুরাবাদ ১ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে মোহাম্মদ আলী জানান, উপজেলা মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে আমরা গাছির খাল এলাকার ৬৫টি জেলে নৌকা এ নিষেধাজ্ঞার সময়ে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরি। মৎস্য বিভাগের লোকজন অভিযানে নামলে আমরা খবর পেয়ে যাই। কীভাবে জানতে পারেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এ জেলে জানান, মৎস্য অফিসে আমাদের পুরনো লোক রয়েছে তিনি আমাদের নদীতে অভিযানে নামার আগে-ভাগে ফোন করে জানান।তিনি আরো বলেছেন, প্রত্যেক ঘাট এলাকায় জেলেরা ধার্যকৃত চাঁদা দিয়ে অফিসকে ম্যানেজ করেই অবরোধের মধ্যে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করেন।

অভিযোগ প্রসেঙ্গ জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্বাস উদ্দিন ব্যস্ততার কথা বলে ফোন কেটে দেন এবং পরে আর ফোন রিসিভ করেননি।
 
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেছেন, আব্বাস উদ্দিন দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ওই কর্মস্থলে অবস্থান করছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে নানান অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শিগগিরই তার বিষয়ে বিধি অনুযায়ী  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেকে/এএস


মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: অর্থ উপদেষ্টা
সচিবালয়ে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত
‘জুলাই সনদ’ জুলাই মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে : আলী রীয়াজ
ফুলবাড়ীতে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ বন্ধু নিহত
কমলগঞ্জে আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ, আটক ২

সর্বাধিক পঠিত

আক্কেলপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অফিস সহকারীর মৃত্যু
লালপুরে আ.লীগ নেতা মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
আগামী নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক: পলাশ
‘অভিযোগ প্রমাণের আগে পাবলিক ট্রায়াল দুদকের কাজ হতে পারে না’
বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি, এখন মানুষের সেবা দিতে চাই : ডা. আব্দুর রাজ্জাক

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close