দীর্ঘ ৩০ বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় জ্ঞানপিপাসুদের জন্য দরজা খুলতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাইব্রেরি ভবনের পুনঃনির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর এই লাইব্রেরিটি বন্ধ ছিল। পুনরায় স্থাপনের পর এই পাবলিক লাইব্রেরিটি হবে উপজেলার জ্ঞানভিত্তিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা এখানে কেবল বই পড়ার সুবিধাই রাখছি না, বই পড়ার সুবিধার পাশাপাশি গড়ে তুলছি একটি আধুনিক ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার।
পাঠাগার পুনঃনির্মানের বিষয়ে দেবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফায়সাল বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে একটি পাবলিক লাইব্রেরির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এখানে এসে পড়াশোনা করতে পারব ভেবে খুবই আনন্দিত হয়েছি।
আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, পাঠাগারটি হউক একটি সমন্বিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নিয়মিত বই পড়ার প্রতিযোগিতা ও সাহিত্য আড্ডার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যবস্থা যেন থাকে সেই প্রত্যাশা করি।
উপজেলা প্রকৌশলী ও লাইব্রেরি কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, ইনশাআল্লাহ ৬ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে পাঠাগারের পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা সম্ভব হবে।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটি স্থানীয় জ্ঞানপিপাসুদের কাছে ছিল প্রাণের ঠিকানা। কিন্তু অবকাঠামোগত সমস্যা ও অর্থসংকটের কারণে ১৯৯৫ সাল থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আশা করছেন আখাউড়াবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এই লাইব্রেরি শুধু বইয়ের ভাণ্ডার নয়, হবে জ্ঞানচর্চা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রাণকেন্দ্র। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের প্রিয় লাইব্রেরিটি আবারো জ্ঞানের আলো ছড়াবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. এম এইচ মামুন, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী ফয়ছল আহমেদ খান, জনতা ব্যাংক ম্যানেজার বশির উদ্দিন প্রমুখ।
কেকে/এএম