বুধবার, ৭ মে ২০২৫,
২৪ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

বুধবার, ৭ মে ২০২৫
শিরোনাম: খালেদা জিয়ার রাজসিক প্রত্যাবর্তন      সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুই মাফিয়ার আধিপত্য      আইএমএফ-কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ে মীমাংসা অধরা       কুরআনে মানুষের ভারসাম্য নির্ধারণ আছে, সীমালঙ্ঘনের সুযোগ নেই      বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেলেন সমিত সোম      আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাখ্যা দিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা      বার্মিজ গরু জব্দ: ছাড়িয়ে নিতে লাখ টাকার মিশন      
ধর্ম
ইহুদিদের সম্পর্কে মহানবী (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী
খোলা কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০২ পিএম আপডেট: ২০.০৩.২০২৫ ৩:১০ পিএম  (ভিজিটর : ২০২)
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

আল্লাহ ইহুদিদের ওপর স্থায়ীভাবে লাঞ্ছনা, অপমান ও নির্যাতন নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যুগে যুগে, ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায়ে তাদের লাঞ্ছিত ও অপমানিত করেছেন।

মিসরের ফেরআউন শাইশাক জেরুসালেম দখল করে এবং ইহুদিদের তাড়িয়ে দেয়। তারপর ব্যাবিলনের রাজা বখতে নসর জেরুসালেম দখল করে ইহুদিদের বন্দি করে নিয়ে আসে এবং তাদের দাস বানিয়ে রাখে। পরে পারস্য সম্রাট ইহুদি দাসদের সেখানে ফেরত পাঠান সত্য, কিন্তু তখন পারস্য সম্রাটেরই অধীন ছিল। ৬৬ খ্রি. রোমান সম্রাট তাইতুস জেরুসালেম দখল করে এবং ইহুদিদের ব্যাপক হারে হত্যা করে। উপরন্তু ৭০ খ্রি. রোমান বাহিনী হাজার হাজার ইহুদিকে বন্দি করে নিয়ে যায় এবং তাদের দাস বানায়।

এডলফ হিটলার জার্মানির নাৎসি নেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ইহুদিদের হত্যা করেছিলেন। হিটলারের ইহুদিদের প্রতি ঘৃণার কারণ হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের জন্য ইহুদিদের দায়ী করার কথা বলা হয়। যদিও এটা একটা ধারণা মাত্র।

হিটলারের ইহুদি হত্যার আসল কারণ হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মুহূর্তে ইহুদি নেতারা বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইহুদিরা ওই সময় পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করে। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদের দেশত্যাগ প্রয়োজন। কিন্তু কোনো ইহুদি ইসরাইল রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিল না।

তখন ইহুদি নেতারা হিটলারের সঙ্গে এক গোপন ইহুদি হত্যা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। যাতে করে বিশ্বব্যাপী ইহুদিদের মধ্যে ভয় ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা যায় এবং তারা ইসরাইলের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৪ লাখ ৫০ হাজার ইহুদির মধ্যে মাত্র ৭ হাজারকে ইসরাইলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং অবশিষ্টদের হত্যার নীলনকশা করা হয়। হিটলার ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে জড়ো করে গ্যাস বোমা মেরে হত্যা করে।

এরপরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইহুদিরা ইসরাইলের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করতে রাজি না হওয়ায় ইহুদি নেতারা বিশ্বের সর্বত্র ইহুদি হত্যার গোপন পরিকল্পনা হাতে নেয়। যাতে করে তাদের মধ্যে ভয়ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। ইহুদিরা ইসরাইলের হাইফা বন্দরে এসেও জাহাজ থেকে নামতে রাজি না হওয়ায় ইহুদি বোঝাই জাহাজটিকে তাদের নেতা ডেভিড গুরিওন বোমা মেরে সাগরে ডুবিয়ে দেয়। এভাবে আল্লাহর ঘোষণা সত্যে পরিণত হয়। (ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদ : পৃ. ৮৪)।

এতদসম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আরো স্মরণ করো, যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, তিনি কেয়ামত পর্যন্ত সবসময় বনি ইসরাইলের ওপর এমন লোককে প্রভাবশালী করবেন যারা তাদের নিকৃষ্টতম শাস্তি দান ও নির্যাতন করতে থাকবে।’ (সূরা আরাফ : ১৬৭)।

ইরশাদ হয়েছে, তাদের ওপর অপমান ও অভাব লাগিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি ও গজবের শিকার হয়েছে। কেননা, তারা আল্লাহর আয়াতের সঙ্গে কুফরী করেছে এবং নবীদের হত্যা করেছে, এটা ছিল তাদের নাফরমানি এবং তারা ছিল সীমালঙ্ঘকারী। (সূরা বাকারা : ৬১)।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ করেন, ‘যারা আল্লাহর আয়াতের সঙ্গে কুফরী করে, নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারীদেরও হত্যা করে, তাদের কষ্টদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও। তারাই ওই সকল যাদের আমল দুনিয়া এবং আখেরাতে ব্যর্থ বেকার এবং যাদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সূরা আল ইমরান : ২১-২২)।

আল্লাহ ইহুদিদের ব্যাপারে আরও বলেন, ‘তারা মন্দ কাজ থেকে বিরত হয় না, যা তারা ইতঃপূর্বে করেছে এবং তারা যা করে তা কতই না খারাপ।’ (সূরা মায়েদা : ৭৯)।

তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজবপ্রাপ্ত জাতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী তাদের ধ্বংস অনিবার্য। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণীমূলক হাদিসের আলোকে বলা যায়, বর্বর নৃশংস অত্যাচারী ইহুদিরা অবশ্যই ধ্বংস হবে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না যতক্ষণ না মুসলিমদের সঙ্গে ইহুদিদের যুদ্ধ হবে। মুসলিমরা ইহুদিদের হত্যা করতে থাকবে। তখন তারা (ইহুদিরা) পাথর ও গাছের পেছনে লুকিয়ে আশ্রয় নেবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, ‘হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই তো ইহুদি আমার পেছনে লুকিয়ে আছে। এসো, তাকে হত্যা করো।’ (সহীহ মুসলিম)।

ইহুদি জাতির প্রধান চালিকাশক্তি হলো তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থ ‘তালমুদ’। এটি তাওরাতের মতো নয়, শুধু ইহুদিদের মৌখিক আইন হিসেবে পরিচিত। এতে তারা নিজেদের সুবিধামতো বিধি-বিধান প্রণয়ন করেছে। ‘তালমুদ’ তার অনুসারীদের ভ্রষ্টতার সুদূর প্রান্তরে নিক্ষেপ করেছে। তাদের অন্তরে বপন করে দিয়েছে আমিত্ব ও দাম্ভিকতার আত্মঘাতী বীজ।

তারা আল্লাহর সত্তার ব্যাপারে বিকৃতির শিকার। মহান আল্লাহর ব্যাপারে তাদের বক্তব্য এমন জঘন্য, যার কারণে আকাশমণ্ডলী বিদীর্ণ হয়। পৃথিবী খণ্ডবিখণ্ড হয়ে পড়ে। পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারা বিশ্বাস করে, উযাইর (আ.) আল্লাহর পুত্র। (নাউজুবিল্লাহ)। আল্লাহ বলেন ‘ইহুদিরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র। এবং খ্রিষ্টানরা বলে, মাসিহ আল্লাহর পুত্র।’ (সুরা তওবা: ৩০)।

আজ অবধি তাদের চরিত্রে এতটুকু পরিবর্তন আসেনি। তারা যেমন ছিল, তেমনি আছে। যতদিন বিকৃত ‘তালমুল’ তাদের চালিকাশক্তি হয়ে কাজ করবে, ততদিন পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনাও নেই। কারণ, তাদের অতীত ও বর্তমানের চিত্র অভিন্ন।

কেকে/এআর
আরও সংবাদ   বিষয়:  ইহুদি   (সা.)’র ভবিষ্যদ্বাণী   পবিত্র কোরআনে ইহুদি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার রাজসিক প্রত্যাবর্তন
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুই মাফিয়ার আধিপত্য
আইএমএফ-কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ে মীমাংসা অধরা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাইযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
মাদকাসক্ত যুবকের হাতে প্রতিবেশী খুন

সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার তিন
একজন মতিন স্যার
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তিন ছাত্রীর মৃত্যু
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় দেবীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ মিছিল
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close